স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলানা জেলার রুপসা থানার দেয়াড়া গ্রামের তোফাজেল হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলমের নামে গত ৮ জুলাই সোমবার দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ ও ডেইলি আলোকিত সকাল নামে দুইটি নিউজ পোর্টালে 'নারীলোভি নরপিশাচ খুরশিদের লালসার স্বীকারে প্রাণ হারালো স্ত্রী মুক্তা ও স্বামী কামরুল,
শিরোনামের দুটি সংবাদ প্রকাশ হয়, সেখানে খুরশীদ আলমকে দুর্ধর্ষ চরিত্রহীন লম্পট, জোচ্চর প্রতারক, মিথ্যাবাদী, লোভী, দুশ্চরিত্র ও ভুমি দস্যু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বিবাহ না করে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে বসবাস করছে বলে নিউজে প্রচার করা হয়।
মৃত মুক্তার মেয়ে কারিমা ও কাইফার কাছে তার বাবা-মায়ের মৃত্যু ও মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন আমার মায়ের দ্বিতীয় বিবাহ হয়েছে এবং আমার মা অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে আমার বাবা ও অসুস্থ ছিলেন তিনিও অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন, নিউজে যা প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন।
প্রকাশিত নিউজের বিষয়ে খুরশীদ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গত ২০১৫ সালে বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার পিগোডিয়া গ্রামের মৃত জলিল মুন্সীর বিধবা মেয়ে মুক্তা বেগমকে বিবাহ করি আমরা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করিতেছিলাম আমার স্ত্রীর আগের সংসারের কারিমা ও কাইফা নামে দুটি কন্যা সন্তান ছিল আমি তাদের নিজের মেয়ের মত মানুষ করার চেষ্টা করি। আমার স্ত্রী খুব ভালো মানুষ ছিল, সে ২০২৪ সালের ১৬ই মার্চ অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়।
তিনি আরো বলেন আমাদের বাড়ির পার্শবর্তী কিছু লোকজনের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব হলে তারা লোকজন নিয়ে জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে যান। তার বাড়ির পাশের কিছু লোকজন মিলে এই নোংরামি করছে বলে আমার ধারণা। মূলত টাকা-পয়সা অবৈধভাবে লেনদেনের জন্য তারা এই কার্যক্রম করছে। আমার পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। যারা আমার ও আমার মৃত্য স্ত্রীর নামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে নিউজ করেছে আমি প্রশাসনের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।