খুলনার ডুমুরিয়ার নার্গিস ক্লিনিক মালিকের গোড়ামিতে মুন্নীর মৃত্যু দায়িদের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

লেখক:
প্রকাশ: 2 years ago

এস.কে বাপ্পি খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনার ডুমুরিয়ায় নার্গিস ক্লিনিকের ভ্থল চিকিৎসায় গৃহবধূ মুন্নী’র মৃত্যুর সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায়
ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সামনে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, খলশী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এফ এম আমজাদ হোসেন। বক্তৃতা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ইকবাল হোসেন, খান নজরুল ইসলাম, শেখ মুনছুর আলী, শেখ জাকির হুসাইন, হেলেনা পারভীন, শেখ আরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, হালিম শেখ, মোহাম্মদ আলী খান। মানবনন্ধনে বক্তারা বলেন, মুন্নী বেগম গর্ভবতী ছিলেন।
পেটের ব্যাথায় ওই ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিল। কোন পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই এ্যাপানটিস অপারেশনের সময় খাদ্যনালীও কেটে
ফেলা হয়। পরে তাকে ভ্থল চিকিৎসাও দেয়া হয়। যে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মানববন্ধনে মুন্নীর ৬ বছরের পূত্র সন্তান সাদিকের হাতে একটি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তাতে লেখা
রয়েছে আমার মা কবরে খুনী কেন বাইরে?
উল্লেখ্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি খলশীর খাজুরা এলাকার রফিক শেখের স্ত্রী মুন্নী বেগম এ্যাপানটিস অপারেশনের জন্য ডুমুরিয়া
নার্গিস ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তমএসে রোগি দেখে ওইদিন অপারেশন করতে অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিকের পিড়াপিড়িতে ডাক্তার অপারেশন করেন। পরবর্তীতে অপারেশনের স্থানে আস্তে আস্তে বচন ধরতে থাকে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বেশকিছুদিন রেখে একটু পচন কমলে
বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে পচনের মাত্রা বেড়ে যায়। ১০ মার্চ শুক্রবার রোগির প্রচন্ড খিচুনি হয় পরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
নিরুপায় হয়ে রোগির স্বজনরা তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ১১ মার্চ শনিবার সকালে তাকে ফুলবাড়ি গেট মিরেরডাঙ্গা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়। পরে দীর্ঘদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২৯ মার্চ তাকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের লায়ন্স আই এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ২ এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় মৃত্যুবরণ করেন মুন্নী।
error: Content is protected !!