কোন বিছিন্ন ঘটনা ছাড়াই মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন

লেখক: mosharraf hossain
প্রকাশ: 7 months ago

ডেস্ক রিপোর্ট :

কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সূষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হলো মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যান্ত ১৬৫টি ভোট কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩২২ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার ২ জন। গণনা শেষে সর্বশেষ বেসরকারী ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে আমজাদ হোসেন লাভলু নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে সন্দীপ ঘোষ ও কলস প্রতীক নিয়ে কাজী জলি আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।

জানাযায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপে অনুষ্ঠিত মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে যতেষ্ঠ জড়তা পরিলক্ষিত হয়। প্রথমবারের মতো এ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় ধীর গতিতে শুরু হলেও কর্তৃপক্ষের সুন্দর ও সার্বিক ব্যবস্থপনায় নির্দিষ্ট সময়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গ্রহণেরে পূর্বে সাধারণ ভোটারের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পেরেছেন ভোটাররা।

বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা ইভিএম নিয়ে বেশ কৌতূহলী ছিল। ৪৮ নং হাজরাকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা নতুন ভোটার মাহির মোস্তাকিন মাহির বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছি।’
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রদ্বিন্দ্বিতা করেছেন আনারস প্রতীকে আমজাদ হোসেন লাভলু, মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে মোঃ ফারুক হোসেন ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মোঃ মিকাইল হোসেন। যদিও শেষ মূহুর্তে মিকাইল হোসেন নির্বাচনের ৬দিন পূর্বেই ফারুক হোসেনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত থাকেন। সর্বশেষ বেসরকারী ফলাফলে আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে লড়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে এসএম আব্দুল হক, টিয়াপাখি প্রতীক নিয়ে ডিএম শরিফুল ইসলাম,চশমা প্রতীক নিয়ে মনজুর আক্তার।
ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে কাজী জলি আক্তার কলস প্রতীক নিয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলো হাঁস প্রতীক নিয়ে আমেনা খাতুন, ফুটবল প্রতীকে সুরাইয়া আক্তার ডেইজি, বৈদ্যুতিক প্রতীকে মাহবুবা ফেরদৌস পাপিয়া, প্রজাপতি প্রতীকে জেসমিন আক্তার এবং পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে মাজেদা খাতুন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন।

error: Content is protected !!