সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় রঙ্গারচর ইউনিয়নের কাংলার হাওরের ছাতল বিলের ইজারদার কর্তৃক হাওরের কৃষকদের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি দখল করতে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া করতে দেখাগেছে। এসময় জমির রের্কডীয় মালিকদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান অভিযোগ পাওয়াগেছে। অস্ত্রমহড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, আবু তাহের নামের এলাকার এক প্রভাবশালী যুবক একাধিক নৌকায় দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে কয়েকজন কৃষকদের শাসিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তাদের নৌকা রামদাসহ দাঁড়ালো অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনায় হাওরের কৃষক আলতাব আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অস্ত্র মহড়ার মূলহোতা আবু তাহেরসহ ২২ জন যুবকের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে ।
জানা যায়, সদর উপজেলার রঙ্গারচর মৌজায় ১০০ নং জেলে ৬৬৩ ও ৬৬৪ দাগে ১.৪৬ একর জমি রের্কডী সূত্রে ভোগদখল করে চাষাবাদ আসছেন ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আলতাব আলী ও সাদ্দক আলী, তাজুদ আলীসহ তাদের ওয়ারিশরা। চলতি বছরে ইউনিয়নের চালত বিল খাসিয়ালী জলমহালের ইজার পায় চানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমতি। ইজারকৃত জলমহাল থেকে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভুক্তভোগী কৃষকদের জমি ২ কিলোমিটার দূরত্বে হলেও বেয়ানীভাবে জমি দখলে পায়তার করেন চানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমতির সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সালমা পারভীনের কাছে গত ১৭ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করা হয়। জমি দখলের বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের পর কৃষকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন মৎস্যজীবী সমিতি কর্তৃপক্ষ। পরদিন ১৮ আগস্ট চাতল বিলের উল্লেখিত জমিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া করেন ইজারাদারদের লোকজন। এসময় জমিতে খুঁটি দিতে চাইলে কৃষকদের পক্ষ থেকে বাঁধা দিলেও হুমকী প্রদানেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এলাকায় থমতমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলেও যেকোনো সময় বড় ধরনের দাঙ্গা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
অস্ত্র মহড়ার ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত যুবক আবু তাহেরে জানান আমার ভাই ভাতিজারা বিল ইজারা নিছে। আমি তাদের সাথে গেছিলাম। তবে নৌকায় রামদা বা অস্ত্র ছিল এটি আমার জানান নেই। এদিকে চানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমতির সভাপতি আঙ্গুর মিয়া অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।