কুয়াদা সরকারী গাছ বিক্রির তথ্য সংগ্রহ কালে সাংবাদিকের কাজে বাধা ও হুমকি আশিকুরের
লেখক:
Rakib hossain প্রকাশ: 3 months ago
মোঃ ওয়াজেদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার :
যশোরে কুয়াদা সিরাজসিঙ্গা ইউনুস মোড়ে সরকারি রাস্তার কিনারাই গাছ বিক্রি ও কর্তন, সংবাদ তথ্য সংগ্রহকালে জলিল মাস্টার এর ছেলে নির্বাচন কমিশনার অফিস সহকারী আশিকুর রহমান (৩৫) এবং আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজেদ গাজীর ছেলে বাবলু গাজী (৪৪) অজ্ঞাত ৪ জন বাধা এবং আঙ্গুল উচিয়ে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ওয়াজেদ আলীকে দেখে নেওয়া হুমকি প্রদান করেন। ২৩ আগস্ট শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে তথ্য সংগ্রহকালে এ হুমকি ধামকি ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায় সিরাজসিংঙ্গা গ্রামের মোঃ ইউনুস আলী সরকারি রাস্তা কিনার দিয়ে ৮ টি মেহেগনী এবং ৩ টি তেঁতুল মোট ১১ টি গাছ বিক্রি করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কাদের মোল্লার কাছে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা। এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে সরজমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে গাছের মালিক এবং ব্যবসায়ী ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন। গাছ ব্যবসায়ী এ সময় তাৎক্ষণিক অন্য এক চায়ের দোকানে উৎপেতে বসে থাকা আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর শরণাপন্ন হয়। ঐ গাছ ব্যবসায়ী তাদেরকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরণ ও ব্যবহার করতে বলেন। তবে আশিকুর রহমান তিনি ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। এই ঘটনা তথ্য সংগ্রহকালে আশিকুর রহমান কর্মরত সাংবাদিকে ডেকে আঙুল উছিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
এ ঘটনা স্থানীয় জনগণ এ ঘটনাট চোখে পড়লে এই আশিকুর রহমানকে কথা বলতে নিষেধ করলে তিনি স্থানীয় জনগণের কথায় কোন কর্ণপাত না করে তার ক্ষমতা বলে দেদারসে সাংবাদিকে হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে অফিস সহকারী আশিকুর রহমান আঙুল উছিয়ে কর্মরত সাংবাদিকে বলেন তুই আমার নামে সংবাদ প্রকাশ করবি করগে যা তারপর আমি তোমাকে দেখে নেব। প্রশ্ন উঠেছে এই নির্বাচন কমিশনার অফিস সহকারী আশিকুর রহমানের খুটি জোর কোথায়? এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা বাবলু গাজী নামে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন একজন কর্মরত সাংবাদিকে কুযাদা বাজার ভোজগাতি রোড়ে আওয়ামী লীগ ক্যাডার বাহিনীর মঞ্জুর এর অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এরপর সেই কর্মরত সাংবাদিকের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার জোর পূর্বক তা আদায় করে নেন। এই নেতা বাবলু গাজী সাংবাদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন এই আমলে তোর কিছু করার থাকলে করে নিস। তবে এই ঘটনায় এলাকাবাসী তাদের ব্যবহার অসন্তোষ বোধ করেন। এ ঘটনার বিষয় তদন্তপূর্বক প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।