মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর সদর উপজেলা রামনগর ইউনিয়নে সরকারী বরাদ্দকৃত সার কুয়াদা বাজার সংলগ্নে পিয়াল ট্রেডার্স প্রোফাইটার মাহবুর রহমান এর সারের দোকানে কৃষকরা অভিনব কায়দায় সার বিক্রির করার অভিযোগ উঠেছে।
১৩ ই জুলাই রবিবার দিন অভিনব কায়দায় প্রোফাইটার মাহবুর এর সারের দোকানে এই সার বিক্রির ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায় যশোর সদর উপজেলার কৃষি অফিস থেকে ০৭/০৭/২০২৪ ইং তারিখে রবিবার কৃষকরা পটাশ ও ডিএপি সার নিয়ে আসেন। কিন্তু কৃষকরা সরকারী বরাদ্দকৃত সার, তাদের চাষের জমিতে প্রয়োগ না করে ঐ বরাদ্দকৃত মোট ৬০ কেজি সার কুয়াদা বাজার সংলগ্নে পিয়াল ট্রেডার্সে বিক্রি করে দেন।
এই সারের পরিমাণ এবং নাম ডহরসিঙ্গার গ্রামের কৃষক ইমান আলী, ১০ কেজি পটাশ, ১০ কেজি ডিএপি সার, সিরাজসিংঙ্গার মনিরুল ইসলাম ১০ কেজি পটাশ ও ১০ কেজি ডিএপি সার এবং সিরাজসিংঙ্গা গ্রামের নওয়াব আলী ১০ কেজি পটাশ ও ১০ কেজি ডিএপি সার সর্বমোট ৬০ কেজি। এই ঘটনার সার ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান কাজী জানান ৬০ কেজি সারের মধ্যে ১০ কেজি সার রদবদল করে নিয়ে যান এবং বাকী ৫০ কেজি সার আমার কাছে বিক্রি করে যান।
এই ঘটনা বিষয় মোবাইল ফোনআলাপে কৃষক ইমান আলী ও মনিরুল ইসলাম এবং নওয়াব আলী কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন সরকারি সার আমরা উপজেলা থেকে নিয়ে এসেছি আমরা নিজেদের চাষের জমিতে প্রয়োগ করবো বলে কিন্তু তা না করে আমরা স্থানীয় ডহরসিংঙ্গা সারের দোকানে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে সরকারী কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে পিয়াল প্রোফাইটার মালিক মাহাবুর রহমান কৃষক এর কাছ থেকে কিভাবে তিনি সার ক্রয় করেছেন। তবে সার বিক্রয় বিষয় দোকানদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এই ঘটনার ইউনিয়ন পরিষদ এর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সার বিক্রির ঘটনার বিষয় আমি লোক মারফতে জানতে পেরেছি। ঘটনার বিষয় আমাদের ইউনিয়নে যে ব্লক সুপারভাইজার আছেন আমি তাকে ঘটনার বিষয় বলি এবং তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন।
তবে আমরা উক্ত বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনার বিষয়টি অবহিত করেছি। তিনি এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। তিনি এই ঘটনার বিষয় তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
এই ঘটনার বিষয় রামনগর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিয়া পারভিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পিয়াল ট্রেডার্স মাহাবুর এর সারের দোকানে গিয়েছিলাম এবং অভিযুক্ত কৃষকদেরকে ডেকে তাদের সাথে কথা বলেছি এবং ঘটনার বিষয় আরও জানার চেষ্টা করছি। এই ঘটনার বিষয় আর কিছু বলতে পারবো না বলে তিনি জানান।