যশোরের কুয়াদায় জামজামি গ্রামে হাফিজুর রহমানের আম গাছের ডালে তারিফ হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুরে হাফিজুর রহমানের বাড়ির পিছনের আমগাছে তার এই ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, তারিফ হোসেন মানসিক ভারসম্যহীন। তিনি ভবানীপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে হাফিজুর তার আম গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির লাশ দেখে চিৎকার দেন রোকেয়া বেগম নামের এক নারী। তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আমগাছে লাশ ঝুলতে দেখে মনিরামপুর থানা পুলিশে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে মনিরামপুর থানার এস আই কানু চন্দ্র বিশ্বাস, তদন্ত অফিসার অচিন্ত্য অধিকারী সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন এবং থানা পুলিশে ও স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে লাশ গাছ থেকে নামান। এই বিষয় তদন্ত অফিসার অচিন্ত্য অধিকারী বলেন, নিহত তারিফের বাড়ি ভবানীপুর পিতা আতাউর রহমান, তবে লাশটাকে মনিরামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
এ ঘটনার বিষয় নিহতের ফুফু জানান, আমাদের ছেলে কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন। আজ সকালে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে, কিন্তু সে যে এমন কাজ করবে তা আমরা কখনো বুঝতে পারিনি।
নিহতের বোন বলেন, আমার ভাই মাস খানেক আগে বিয়ে করেছে। তবে পারিবারিক কোলাহলের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান।
আত্মহত্যার বিষয়ে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।