স্টাফ রিপোর্টার:
যশোরের কুয়াদায় টেন্ডার ছাড়াই ২/৩ লাখ টাকার গাছ মাত্র ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রির ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের নির্দেশনায় পরিষদের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ও উচ্চমান সহকারী কৌশিক।
সোমবার তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন।
জানা গেছে, যশোরের কুয়াদা বাজার সংলগ্ন ঢাকুরিয়া পাকা রোডের দুই পাশে জেলা পরিষদের কাছ থেকে লিজ নেওয়া জমিতে আল কারিম ইসলামী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড গাছ রোপণ করে। অথচ জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়াই সেখানকার ১০-১২টি গাছ সিরাজসিংগা গ্রামের শওকত বিশ্বাসের ছেলে আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি মাত্র ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন, যার প্রকৃত মূল্য ২-৩ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। স্থানীয় এক ব্যক্তি, রব্বানী, জানান, “গাছ বিক্রির সময় আমরা বাধা দিলে আলতাফ হোসেন আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং বলেন, ‘আমি গাছ বিক্রি করব, পারলে ঠেকান।’”
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, “আমরা পুনরায় তদন্তে কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবার নজর এখন জেলা পরিষদের দিকে।