কুয়াদা বাজারে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে এসিল্যান্ড সাজিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ভয় দেখিয়ে বাজারের বিভিন্ন দোকানিকে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ০৭/০৭/২০২৪ ইং তারিক রবিবার কুয়াদা বাজারে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই চাঁদা আদায় ও করেছে এই চক্রটি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াদা সিরাজসিংঙ্গা গ্রামের সাবেক মেম্বার কামরুল ইসলাম এই ঘটনার নায়ক বলে তথ্য মিলেছে। তবে টাকা না দিলেই অভিযান এমন অপপ্রচার ও অনৈতিক কর্মকান্ডে বাজারে এই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এসিল্যান্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে আঁচ করে কুয়াদা বাজারের ভুক্তভোগী দোকানি ও ব্যবসায়ীরা। মণিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমির) কাছে লিখিত অভিযোগ ও করেছেন। তথ্য মিলেছে গত কয়েকদিন ধরে এই সাবেক মেম্বার কামরুলসহ তার আজ্ঞাবহ সান্ডাপান্ডারা প্রচার করে বেড়াচ্ছিল যে বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন এসিল্যান্ড। যে সব মিষ্টির দোকান ও স মিল ব্যবসায়ীসহ কাগজপত্রে ক্রটি থাকা ব্যবসায়ীদের দোকান সিল করা হবে। যদি স্যারকে চাহিদামতো টাকা দেওয়া যায় তাহলে অভিযান চলবে না। আর ৭ জুলাই সকালে কামরুল ইসলাম বিভিন্ন দোকানে গিয়ে একটি নম্বরে কথা বলিয়ে দেয়। নিজেকে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে ০১৮৭৪-২০৬৭৫৯ নম্বর থেকে কামরুল ইসলাম এর ০১৭২৫-৫৫২২৬ এই নম্বরে ফোন করে দোকানিদের সাথে কথা বলে অপর প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি এবং ওই সময় টাকা দাবি করে সে। তবে বাজারে দোকান প্রতি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা টাকাও রেখে দেওয়ার হয় । যেমন ভাই ভাই মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক কৃষ্ণ কুমার সাহা এসিল্যান্ড ভেবে ভয়ে ০১৮৭৪-২০৬৭৫৯ নগদ নাম্বারে ৫ হাজার টাকা দেন। পরে গড়ে চাঁদা দাবি করায় স্থানীয় দোকানিদের সন্দেহ হয় যে আসলে এটা কামরুলের প্রতারণা কিনা।
এ ঘটনা তুলে ধরেন মণিরামপুরের এসিল্যান্ড নিয়াজ মাখদুলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বলা হয়েছে ৭ ই জুলাই রাত ৮ টার দিকে মণিরামপুর উপজেলা এসিল্যান্ড সাজিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে দিয়ে দোকানিদের কাছে ফোন করায় সিরাজসিংঙ্গার মৃত আবু বক্কর গাজীর ছেলে কামরুল ইসলাম। কুয়াদা বাজারের ভাই ভাই মিষ্টান্ন ভান্ডারে ৫০ হাজার, ডহরসিঙ্গার স মিল ব্যবসায়ী শাহজাহান কবিরের কাছে ৮০ হাজার টাকা, দোকানি আরাফাত রহমান প্রান্তের কাছে ৫০ হাজার টাকা, জামজামি ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের বাবু ঘোষের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এর বাইরে ও আরো অনেকের কাছে ০১৮৭৪-২০৬৭৫৯ নম্বর দিয়ে ফোন করে এসিল্যান্ড পরিচায় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দাবি করা। এ অবস্থায় ব্যবসাযীরা ভয়ে ভয়ে আতঙ্কে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। এই ঘটনার বিষয় এর তদন্ত করে সুবিচার দাবি করেছেন তারা। এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগী দোকানী কৃষ্ণ কুমার সাহা, শাহজাহান কবীর, রবিন, হারান কুমার, আরাফাত রহমান প্রান্তসহ অনেকে জানিয়েছেন ঘটনার নায়ক হচ্ছে কামরুল। সেই ঘটনাটি সাজিয়ে বাণিজ্য করেছে বা আরও করতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে।
এই ঘটনার বিষয় এসিল্যান্ড তদন্ত শুরু করেছেন। ঘটনাটি দ্রুত পরিষ্কার হবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কামরুল কে আটক করে রিমান্ডে আনলেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে। কামরুল ও তার ভাই তাজামুল, নাজমুল এরা সবাই নানা অপকর্মে জড়িত। কামরুল ও তাজমুল প্রায় মাদকবসহ আটক হয়। তারা সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আর এখন তারা নানামুখী প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে।