যশোরের কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর জসিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন, আলামত উদ্ধারসহ দুইজন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার ৩০/০৬/২৩ তারিখ রাত ১:১০সময় কোতয়ালী মডেল থানাধীন বারান্দি মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকা হতে আসামী (১) নাসির হোসেন কে গ্রেফতার করেন এবং তার তথ্য মতে একই তারিখ রাত ০২:৩৫ সময় বেজপাড়া তালতলা এলাকা হতে (২) জাহিদ @ ডুবারদের গ্রেফতার করেন। জানাযায় গত ২৬/৬/২৩ ইং তারিখে ডিসিস্ট জনৈক জসিম উদ্দিন ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও গ্রেফতার অভিযানঃ মনিরামপুর থানামধীন মনিরামপুর বাজারে “ভাই ভাই গোল্ডেন ফিস”ঙ মাছের আড়ৎ এর ম্যানেজারের কাজ কর্ম শেষঙ করে ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৫০ সময় মনিরামপুর হতে কোতয়ালী মডেল থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:১৫ সময় যশোর শহরস্থ ব্যাটারী পট্টি নামক স্থানে ফোনের মাধ্যমে একজন অজ্ঞাতনামা মেয়েকে ডাকিয়া তাহাকে বিভিন্ন ফলমূল কিনে দিয়ে মনিরামপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:৪০ ঘটিকার সময় মামলার ঘটনাস্থল যশোর কোতয়ালী মডেল থানাধীন নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়াস্থ যশোর-খুলনা গামী মহাসড়ক সংলগ্ন কোল্ড স্টোরেজ মোড় সাব্বির ফ্লাওয়ার মিলের বিপরীত দিকে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছাইলে অজ্ঞাতনামা ০৩জন আসামী হিরো হাংক মোটরসাইকেল নিয়া ডিসিস্টের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে, মোটরসাইকেল হতে নামাইয়া চাকু দ্বারা এলোপাতাড়ি কুপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল যশোরে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ডিসিস্টের বাবার এজাহারের প্রেক্ষিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১০২, তাং-২৭/০৬/২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি কোতয়ালী মডেল থানার এসআই(নিঃ) শরীফ আল মামুন তদন্ত করছেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্বাবধানে ডিবির এলআইসি টিমের এসআই(নিঃ) মোঃ নূর ইসলাম, এসআই(নিঃ) রাজেশ কুমার দাস, কং/১০০০ মোঃ আব্দুল বাতেন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) শরীফ আল মামুনগণের সমন্বয়ে গঠিত চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামীদের সনাক্ত করেন এবং ৩০/০৬/২৩ তারিখ রাত ০১:১০ ঘটিকায় কোতয়ালী মডেল থানাধীন বারান্দি মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকা হতে আসামী (১) নাসির হোসেন কে গ্রেফতার করেন এবং তার তথ্য মতে একই তারিখ রাত ০২:৩৫ ঘটিকায় বেজপাড়া তালতলা এলাকা হতে (২) জাহিদ @ ডুবারদের গ্রেফতার করেন। আসামীদের দখল হতে হত্যা কাজে ব্যবহৃত ০২টা চাকু, হত্যা কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ০১টা মোবাইল সেট উদ্ধারপূর্বক জব্দ করেন। আসামীদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী ইব্রাহিমের খালা আনোয়ারা বেগম আনু এর সাথে ডিসিস্ট জসিম এর পরকীয়া প্রেম ছিল এবং ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে আসামীরা এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। আসামীর তথ্যঃ (১) নাসির হোসেন (৩০), পিতা- লাল মিয়া, সাং- বারান্দী মোল্লাপাড়া, (২) জাহিদ @ ডুবার (২৩), পিতা- আশরাফ আলী, সাং- বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প, উভয়থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর। উদ্ধারকৃত আলামত (১) হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকু ০২টা।