স্টাফ রিপোর্টার ঃ
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশতাক আহমেদ অধিনায়ক র্যাব- ৬ প্রেস ব্রিফিংএ বলেন আসামীদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের দীর্ঘদিনের জমিজমা বিরোধ চলছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৬ এপ্রিল আসামী সিরাজ শেখ ও তার ছেলে হাচান শেখসহ সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভিকটিম মোঃ মফিজুর রহমানের এর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।
তখন ভিকটিমের সাত মাসের অন্তঃস্ত্ত্বা স্ত্রী এগিয়ে আসলে আসামীরা তাকেও মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন মফিজুর রহমান ও তার স্ত্রীকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরে মফিজুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ই মে মফিজুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের বিষয়ে র্যাব-৬ তদন্ত শুরু করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ মে র্যাব-৬ ও র্যাব-৪ এর যৌথ আভিযানে ঢাকা মহানগরীর গেন্ডারিয়া এবং মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সিরাজ শেখ ও হাচান শেখকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।