কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমামঃ
গতকাল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি ব্লক উন্নয়ন বোর্ড অধীনে উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬জন সদস্য, তাদের নিজেদের দল থেকে চলে এসে তৃনমূল কংগ্রেসের হাত ধরেছে।
এর মধ্যে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর ৯জন আই এস এফ দলের চার জন ও নির্দল একজন, বামফ্রন্ট এর এক জন সদস্য রয়েছে। এই সদস্যরা গত ২০২৩ সালে তৃনমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও তাদের বিরুদ্ধে চোর ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ঘুষের টাকা নেওয়ার মতো ঘটনা তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভোট আদায় করে তৃনমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে নির্বাচনে, জয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি ব্লক উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি কোন ভাবেই তৃনমূল দলের সদস্যরা।তারা মোট ২৯টি আসনে র মধ্যে ১২ টি জয়ী হয় এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর পক্ষে জয়ী হয়েছেন ১০ সদস্য ও আই এস এফ দলের চার জন ও নির্দল একজন বামফ্রন্ট এর এক জন। কিন্তু তৃনমূল কংগ্রেস কে পিছনে ফেলে দিয়ে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও তৃনমূল দলের ছয় জন ও আই এস এফ দলের চার জন ও নির্দল একজন বামফ্রন্ট এর এক জন কে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয় ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর পক্ষ থেকে মমতাজ মাসকিনা বেগম।
কিন্তু তার দেড় বছর পর আবার শুরু হয়েছে প্রধান ফেলার খেলা। আগে যারা সাবেক প্রধান কুতুবুদ্দিন লস্কর কে পরিত্যাগ করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস কে সমর্থন করেন।তারা গতকাল আবার সেই সাবেক প্রধান কুতুবুদ্দিন লস্কর কে সমর্থন করে মমতাজ মাসকিনা বেগম কে প্রধান ফেলতে খেলা শুরু করেছে।অতিত থেকে জানা যায় যে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফেলতে তৎকালীন বামফ্রন্ট এর সময় উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইমাম আলি কে ফেলতে বামফ্রন্ট এর চার জন সদস্য বেআইনি করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এ যোগদান করে প্রধান হয়। সেই সময় থেকেই শুরু হয়েছে প্রধান ফেলার খেলা।এর পর গোলাম প্রধান ও কালা প্রধান ও তার পর শামসুল আলম প্রধান,পরে জবা প্রধান ও তার পর কুতুবুদ্দিন লস্কর ও আনার হোসেন,পরে আবার কুতুবুদ্দিন লস্কর।
তার পর আবার মমতাজ মাসকিনা বেগম ফের কুতুবুদ্দিন লস্কর কে সমর্থন করে প্রধান করার খেলা শুরু করেছে। উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে প্রায় পঁয়তাল্লিশ হাজার মানুষ বার বার পঞ্চায়েতের উন্নয়নের ধারা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এর দায় কারা নেবেন তার সঠিক পরিসংখ্যান ও তথ্য এবং উত্তর কেউ কি দিতে পারবেন।না নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকবেন স্বার্থ পর জনগণের সাথে বেআইনি করা সদস্যরা।