ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির একাংশ কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাস্স্ট্যান্ডে জনসমাবেশ, দোয়া মাহফিল ও বনার্ঢ্য র্যালির আয়োজন করে। দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হয়। কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান,আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান রনি, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলন, সেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন,উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শিপুল খানসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের নেতারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে। এসময় দেশের সামরিকবাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি, যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিল।
তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহী ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল। সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা হামিদুল ইসলাম হামিদের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতা কর্মী সাথে নিয়ে এক বনার্ঢ্য র্যালী কালীগঞ্জ শহর প্রদক্ষিণ করে।