হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
জনদূর্ভোগ,ব্যবসায়িক ক্ষতি সব কিছুকেই মেনে নিয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় কালীগঞ্জের বড় বাজারের প্রাণকেন্দ্রে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সেতুটি। প্রতিদিনই ব্রীজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা। অনেকে আবার ঘুরে ফিরে দেখছেন সেতুটি,তুলছে সেলফি।স্থানীয়দের মধ্যে সেতুটি উদ্বোধনের তর কিছুতেই সইছে না। তারা দৃষ্টিনন্দন এই ব্রিজটি তৈরিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারকে।নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান কনসিক এন্ড বিল্ড লিমিটেডের ৬২ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতুটি আধুনিক ভাবে নির্মিত হচ্ছে। সেতুর মাঝপথ দিয়ে পরিবহন ও দু’পাশ দিয়ে পথচারী এবং রিকসা ভ্যান চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। আগামী ১২ অক্টোবর পথচারিদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেতুর দুই পাশ ,পুজার পর গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে সেতুটি এমনটি তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেতু নির্মাণ কতৃপক্ষ। ২০২২ সালে ২০ জুলাই ভিত্তি প্রস্তরের ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে সেতুটির কাজ শুরু হয়।এটি নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬১ টাকা।সেতুটি নির্মাণ কাজ দেখতে আসা দর্শনার্থী আহসান কবির উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন,। কালিগঞ্জ বাঁশির দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতু এটি। সেতুটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে পৌর তথা উপজেলা বাসীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন এক দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন,ঝিনাইদহ-৪ জনপদের মাটি ও মানুষের জন্য অনেক এমপি কাজ করেছেন তার মধ্যে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ১০ বছরে সকল দৃষ্টন্ত ছাড়িয়ে গেছে। এখন আমরা উদ্বোধনের প্রহর গুনছি।সেতুর দুপাশে সীমানা নির্ধারণসহ নানা সমস্যায় দীর্ঘদিন সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। সর্বশেষ স্থানীয় সাংসদ ও পৌর বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় করে সমস্যা নিরসন করায় ব্রিজটি আলোর মুখ দেখতে পেরেছে।