হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এবার টাকা নিয়ে অভিযোগ গ্রহণ এবং পরবর্তীতে চাহিদা মাফিক টাকা না দেওয়ায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী আবু হুরায়রা ঝন্টু এ অভিযোগ করেন।তিনি উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ।
জানাগেছে , বাকুলিয়া গ্রামের এহিয়া বিশ্বাসের ছেলে আবু হুরায়রা ঝন্টু ১ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একই গ্রামের বাসিন্দা নিজ ভগ্নিপতি সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে । অভিযোগ দায়েরের সময় কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কনস্টেবল শামিম রহমান(৬৬৪) আবু হুরায়রা ঝন্টু’র কাছ থেকে ১ হাজার (দুটি ৫০০ টাকা’র নোট ) টাকা তদন্তের জন্য গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি জরুরীভাবে মামলা নথি ভুক্ত ও আসামী আটক করার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেন তার নিকট ।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী আবু হুরায়রা ঝন্টু জানান , একই গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সাথে ১৪ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে দিয়েছি । সে প্রায়ই আমার বোনকে মারধর করে । সাদ্দাম সম্প্রতি আমার বোনকে আবারও মারধর করলে আমি থানায় যায় । এ সময় কনস্টেবল শামিম রহমানের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় । তিনি আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং কিছু টাকার কথা বলেন । তখন আমি থানার গেট থেকে ৫’শ টাকার দুটি নোট মোট ১ হাজার টাকা তাকে দিই ।
এ সময় তিনি বলেন , জরুরিভাবে কাজ করতে হলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে । তাহলে স্যারেরা দ্রুত কাজ করে দেবে বলেও তিনি জানান । আমি পুলিশের চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় অভিযোগের ৫ দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ।
অভিযুক্ত কালীগঞ্জ থানা পুলিশের কনস্টেবল শামিম রহমান জানান,আমি টাকা নেয়নি।
থানায় দ্রুত কাজের জন্য টাকা লাগবে তাও বলে নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা আছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। থানায় সেবা পেতে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান , ঘটনা শুনলাম। অভিযোগকারীকে আমার কাছে পাঠিয়েন, আমি দেখব।