কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের কেশুর কুড়ি বিলের মাঠে ধানী জমিতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর খননের কাজ। উক্ত মাঠে সাদিকপুর গ্রামের হাজী মোস্তফা কামালের ৮ বিঘা ধানী জমিতে কাটা হচ্ছে পুকুর। এভাবে পুকুর খননের ফলে মাঠটিতে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। পুকুর খাননের কারণে আশপাশের ধানী জমিও দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। শনিবার(৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার এস টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে সাতগাছিয়া মৌজায় কেশুর কুড়ি বিলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, এস্কোভেটর (ভেকু)মেশিন দিয়ে ধানী জমির মাটি কেটে পুকুর খননের কাজ চলছে। ৬ ডিসেম্বর রাত থেকে মাটি কাটা শুরু করে ৭ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত ৮ বিঘা জমির ৩ পাড় মাটি দিয়ে ইতিমধ্যে বেধে ফেলা হয়েছে।এ সময় ওই জমির বর্গা চাষী মনিরুল ইসলাম জানান,ইরি কিংবা আমন কোনো আবাদে এখানে ভালো ধান হয় না। যে কারণে জমির পাড় বেধে দিচ্ছেন জমির স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল। এ সময় ওই জমির স্বত্বাধিকারীর ছোট ভাই মোঃ মানিক বলেন, আমর বড় ভাই আমাদের এই জমিতে ১০ ফুট কেন্যাল রেখে পাড় বাধার কাজ করাচ্ছেন । আমি তো দেখাশোনা করছি। মাটি কেটে পাড় বাধছি যাতে করে জমির মধ্যে পানি প্রবেশ করতে না পারে। পুকুর কাটার তথ্যটি সঠিক নয়।চার পাশের পাড় বেধে ভিতরে আমরা ধানের চাষ করব এবং কেন্যালে মাছ চাষ করব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ গ্রামের একজন কৃষক বলেন, এই মাঠে শত শত বিঘা জমিতে ধানের চাষ হয়। মাঠের মাঝখানে যদি এভাবে পুকুর কাটা হয় তাহলে আশপাশের ধানী জমিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা ঠিকমতো আবাদ করতে পারবে না। তাই আমাদের এই মাঠে পুকুর কাটা বন্ধ হওয়া দরকার। ১০ নং কষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মোশারফ হোসেন বলেন, পুকুর খননের সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম মাটি কিংবা পুকুর কাটার কোন সরকারি অনুমতি পত্র তাদের নেই। তাই অনুমতি ব্যতীত ধানী জমিতে এভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে তাদেরকে নিষেধ করি। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ভেকু বন্ধ করে দিয়ে এসেছি। ব্যাপারটা আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করবো।