ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক দিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরিষদগুলোর চেয়ারম্যানরা কারাগারে ও নিরুর্দ্দেশ থাকায় দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকদের ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৩, ১০১ ও ১০২ ধার অনুয়ায়ী গত ১১ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল এক অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রশাসক নিয়োগের ওই আদেশ দেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার ১৯ আগষ্ট ২০২৪ তারিখের জারীকৃত পরিপত্রের আলোকে প্রশাসক নিয়োগ করে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাও অর্পন করা হয় ।
উপজেলার ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর এ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা , ২নং জামাল এ কৃষি কর্মকর্তা , ৩নং কোলায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা , ৪নং নিয়ামতপুর এ অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, ৫নং সিমলা রোকনপুর এ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, ৯নং বারবাজার এ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও ১১নং রাখালগাছী ইউনিয়ন পরিষদে সমবায় কর্মকর্তাকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন প্রয়োগ করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় ।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম জানান, ৫ই আগষ্টের পর থেকে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ৩ জন চেয়ারম্যান কারাগারে ও ৪ জন চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না।
তাদের অনুপস্থিতিতে পরিষদের বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন জনগন। সরকারী উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। এসব বিবেচনায় সরকারী পরিপত্রের আলোকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মহোদ্বয় প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন।