কালীগঞ্জে সুবর্ণসারা সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকে টাকা ছাড়া মেলে না ঔষধ
হুমায়ুন কবির কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসারা সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকে টাকা ছাড়া রোগীদের সেবা ও ঔষধ মিলছে না।কমিউনিটি এ ক্লিনিকের আশপাশের কয়েক গ্রামের রোগীরা সেবা ও ঔষধ নিতে আসলে তাদের কাছ থেকে ১০-১৫ টাকা করে নেন সেখানে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার(সিএইচসিপি)মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। তার দাবিকৃত টাকা রোগীরা দিতে ব্যর্থ হলে অনেক ক্ষেত্রে ঔষধ না নিয়েই তাদেরকে বাড়ি ফিরতে হয়। ক্লিনিকটিতে আবার পোস্টার লাগিয়ে ডায়াবেটিক রোগীদের পরীক্ষার জন্য ৩০ টাকা সম্মানিও নিচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ জন রোগী এই ক্লিনিকটিতে সেবা ও ঔষধ নিতে আসেন।
সরজমিনে সুবর্ণসারা কমিউনিটি ক্লিনিকে যেয়ে দেখা যায়,সিএইচসিপি বিনা রশিদে টাকা নিয়ে একজন রোগীকে কিছু ঔষধ দিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী বিনামূল্যে রোগীদের সেবা প্রদান ও ঔষধ দিতে হবে । কিন্তু সুবর্ণসারা কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা সিএইচসিপি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ রোগীদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ক্লিনিকের সামনে সুবর্ণসারা গ্রামের চিকিৎসা নিতে আসা হায়দার বিশ্বাস, জমির মন্ডল ও সোহাগ মন্ডলের সাথে কথা হলে তারা এই প্রতিবেদককে জানান, মোস্তফা কামাল টাকা ছাড়া কাউকে ঔষধ দেন না। প্রত্যেকের নিকট থেকেই তিনি ১০-১৫ টাকা চেয়ে নেন।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯ টা থেকে ক্লিনিক চালু করার কথা থাকলেও তিনি প্রতিনিয়ত প্রায় ১০ টার আগে পরে আসেন। আবার দুপুর ১ টা বাজার পরপর বন্ধ করে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এভাবেই এই ক্লিনিকটি চালাচ্ছেন। এগুলো দেখার কেউ নেয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য গঠিত স্থানীয় সিজি ও সিএসজি কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন সোনা বলেন,কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপির দেরিতে আসা ও সময় শেষ হওয়ার আগে চলে যাওয়া ,টাকা নিয়ে ঔষধ দেওয়া, ডায়াবেটিস পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়া এসব কোনো ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। খোজ খবর নিয়ে দেখছি।
সিএইচসিপি মোস্তফা কামালের কাছে এইসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে বলেন, এসব ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট জানলে সেখান থেকে আপনি সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ ইমরান হোসেন জানান,ঐ কমিউনিটি ক্লিনিকে যদি কোনো অনিয়ম থাকে তাহলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শুভ্র রানী দেবনাথ জানান,এ ব্যাপারে আমি খোজ খবর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য বলছি।