হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের তত্তিপুর গ্রামের তত্তিপুর ১ নং মৌজার ১ নং খতিয়ানের কাচারিপাড়ায় সরকারি প্রায় ৭ বিঘা জমিতে থাকা বড় ৩০ টি মেহেগুনি ও কড়াই গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রশিদ ও তার শরিকদের নামে। প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের এই গাছ তিনি কয়েকদিন যাবত কেটে বিক্রি করছেন বলে স্থানীয়রা জানায়। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাসজমি তত্তিপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ ও তারই জ্ঞাতি সম্পর্কীয় ভাই মৃত খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ সেকেন্দার আলী, মৃত জলিল হোসেন, মোহাম্মদ মোবারক আলী, মৃত খোদাবক্স, মৃত জুরমত আলী ও মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গং ভোগ দখল করে আসছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই জমিতে থাকা গাছ স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েবের সাথে সখ্যতা করে বিক্রি করে দেন তারা। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে ১ অক্টোবর খাস জমিতে কেটে ফেলে রাখা গাছ অল্প কিছু জব্দ করে ভূমি অফিসের সামনে এনে রাখেন স্থানীয় নায়েব।ঐ জমিতে এখনো কাটা অবস্থায় বড় গাছের লগ ও খড়ি পড়ে থাকলেও স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েব তা জব্দ করছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে এখানে বড় বড় গাছ গুলো কাটছিল। বৃষ্টির কারণে কাটা গাছ উঠিয়ে নিতে সমস্যা হওয়ার কারণে এখানে পড়েছিল এবং এখনো কিছু আছে । গত কাল আবার ভূমি অফিসের লোক এসে গাছ উঠিয়ে নিয়ে যেতে নিষেধ করে গেছে। অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব না হওয়ায় তার ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট থেকে তার দাদা কিনেছিল। তিনি আরও বলেন,১৯৯২ সালের ভূমি রেকর্ডের সময় আমার বাপ চাচাদের নামে রেকর্ড না করায় বর্তমানে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।মালিয়াট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ইদ্রিস আলী জানান,এসিল্যান্ড স্যার বলার পর আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে এবং জমির কাগজপত্র দেখে জানতে পারি জমি আব্দুর রশিদ ও তার শরীকদের। পরবর্তীতে স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী গাছ কাটা বন্ধ করি ও কিছু গাছ জব্দ করে অফিসের সামনে এনে রাখি। এই গাছ কাটার ব্যাপারে আমার কারো সাথে কোন সখ্যতা নেয় বলেও তিনি জানান।কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে গাছ কাটা বন্ধ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই জমি ভিপি সম্পত্তি (খ)তালিকাভুক্ত। ভোগ দখলকারী ব্যক্তিদের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসার জন্য বলা হয়েছে। ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। আর যদি ঐ জমি সরকারি সম্পত্তি হয় তাহলে অবশ্যই গাছ কাটা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।