হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
বেদেপল্লি বা বেদে সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ এলেই চোখের সামনে ভাসে তাঁবু কিংবা নৌকায় মানুষের বসবাসের চিত্র। যেখান থেকে তারা পাড়ায়-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বানর কিংবা সাপের খেলা দেখান। ঝাড়ফুঁক দিয়ে এবং তাবিজ-কবচ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন জীবিকা নির্বাহ করে । এ দৃশ্য দেখে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁরা সরকারের নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পে গড়ে উঠা বেদেপল্লি দেখে বিস্মিত হবেন। সেখানে আধুনিক ইমারত, পাকা, আধা পাকা ও টিনশেড বাসায় বসবাস করেন বেদেরা। সেখানে তাদের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হলেও অন্তঃদ্বন্দে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেদেপল্লীতে বসবাসরত বেদেরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ছিন্নমূল এই মানুষগুলো। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে রাসেল হোসেন এবং অপর পক্ষে মনিরুল ইসলাম।
বিভিন্ন সময়ে মামলা,হামলার শিকার ছিন্নমূল এই মানুষগুলো।ইতিমধ্যে রাসেলের সমর্থকরা ২৯ মে বুধবার সকালে পুলিশি বাঁধার মুখে কোটচাঁদপুর রোডে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে তারা মরিয়া। বর্তমানে এই পরিবারগুলো ফুটপাতে অবস্থান করছে। তাদের এই অবস্থা দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ এর জায়গা থেকে হোন্ডা শোরুম ভবনের ছাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শামিম আরা মান্নান সাময়িকভাবে থাকার জাইগা দেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ৩০টি পরিবার নিয়ে তারা বাইরে অবস্থান করছিল। এ সম্প্রদায়ের অপর এক দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে মনিরুল ইসলাম। তার নেতৃত্বের অনুসারিরা বর্তমানে কাশিপুর বেদে পল্লীতে অবস্থান করছে। সবাই ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বিভিন্ন সময়ে একটি দলকে হতে হয় বাড়ি ছাড়া।
বিগত সময়ে মনিরুলের সমর্থকরা গত ১৭ মাস ধরে বাড়ির বাইরে অবস্থান করেছিল।কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানানা,আগামী রবিবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বেদে সম্প্রদায়ের দুই গ্রুপের লোকজন নিয়ে বসার কথা আছে। আশা রাখি সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের হবে।