হুমায়ুন কবির ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল লতিফ সুপারের শূন্য পদ দখলে সুপারম্যান এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত সুপারের কুটকৌশল অনিয়ম দুর্নীতি ধরে ফেলেন প্রতিষ্ঠানটির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি। আর তখনই বাধে বিপত্তি।
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার অনুপমপুর এ অবস্থিত সম্মেলনী বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসায়। মাদ্রাসাটিতে শূন্য পদে সুপার নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল লতিফের অনিয়ম ও দুর্নীতি ফিরিস্তি উল্লেখ করে ২০ মার্চ সভাপতি আলতাফ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত প্রেরণ করেন।
একই সাথে ভারপ্রাপ্ত সুপার আবদুল লতিফ কর্তৃক পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগপত্রও দায়ের করেন। দরখস্ত এবং অভিযোগপত্রে সভাপতি আলতাফ হোসেন উল্লেখ করেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্বে থেকে আব্দুল লতিফ কার্যনির্বাহী পরিষদের রেজুলেশন জালিয়াতি করে সুপার পদে নিয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। নিজে ভারপ্রাপ্ত সুপার থেকে পদত্যাগ না করে শূন্য পদের বিপরীতে সুপার নিয়োগের জন্য আবেদনও করেন তিনি । তার নানা অপকৌশল সামনে আসলে কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০১ নং রেজুলেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ভারপ্রাপ্ত সুপার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এম তাবস্থায় পূর্বের ভারপ্রাপ্ত সুপার মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ ১৭ ই মার্চ অফিস সহকারীর কাছ থেকে জোরপূর্বক রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেয় এবং ২০১ নং রেজুলেশন টি ছিঁড়ে ফেলে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেন। পূর্বে নিজের করা জালিয়াতি রেজুলেশনে সভাপতির অনুমোদন দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন।
সম্মিলনী বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল লতিফের অনিয়ম দুর্নীতি প্রসঙ্গে জানতে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে দরখস্ত প্রেরন এবং থানায় অভিযোগ দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আব্দুল লতিফের অনিয়মের কারণেই প্রতিষ্ঠানটির সুপার পদে নিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চাকরিজীবনে তার নামে অনেক অভিযোগ। বারবার তাকে সতর্ক করা হলেও তিনি শুধরান না। ২১ মার্চ বেলা ১২ টায় আব্দুল লতিফ সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয় আব্দুল লতিফের ইতিপূর্বে ধর্ষণসহ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট শিক্ষার্থীর নিবন্ধন জালিয়াতি ধরা পড়ে মামলায় জড়ান।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু আজিফ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ১ টি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেছেন।