ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বহুল আলোচিত ফিরোজ ডেন্টালের সনদ বিহীন ভুয়া দন্ত চিকিৎসক ফিরোজুর রহমানের  নামে এবার নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী পৌর এলাকার ঢাকালে পাড়া মধুগঞ্জ বাজারের জসীম উদ্দীনের স্ত্রী মোছা : লতা খাতুন(৩০)। এই নারী কালীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে ফিরোজুর রহমানের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি  উল্লেখ করেছেন, ফিরোজুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে  থাকাকালীন সময়ে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে নানাভাবে তাকে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ফিরোজ। বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ফিরোজ তাকে  ঘরে গচ্ছিত থাকা স্বামীর ব্যবসায়িক টাকা গুছিয়ে নিয়ে তার কাছে চলে যেতে বলে।ঐ কথার ভিত্তিতে ৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ লতা খাতুন স্বামীর অবর্তমানে কাউকে কিছু না জানিয়ে  ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় ফিরোজুর রহমানের কাছে চলে যাই। ফিরোজ লতা খাতুনের নিকট থেকে টাকা পয়সা নিয়ে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে  নির্যাতন করে। লতা খাতুন তার ভুল বুঝতে পেরে কৌশলে ফিরোজের  কাছ থেকে পালিয়ে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ বাড়িতে ফিরে আসে।

পরবর্তীতে কালীগঞ্জ থানায় ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন লতা। এ ঘটনার পর ফিরোজুর রহমান ও তার পরিবার একাধিকবার পরকীয়া সম্পর্ক ও টাকা পয়সার ব্যাপারটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে এই ফিরোজুর রহমানের  প্রতিষ্ঠান মধুগঞ্জ বাজারের ফিরোজ ডেন্টালে দাঁতের অপচিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রশাসনের অভিযানের কথা টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে তাকে পালিয়েও যেতেও দেখেছেন ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ।

সেনা সদস্য ফিরোজুর রহমান চাকরি ছাড়ার  পর হঠাৎ করেই দন্ত চিকিৎসক বনে যান। বিডিএস ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা ছলচাতুরি আর অনিয়ম করে দন্ত চিকিৎসার রমরমা ব্যবসা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে। পারিবারিক জীবনে তিনি এক স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। তার সন্তানরা সকলেই বিবাহিত। এই বয়সে এসে ফিরোজুর রহমানের পরকীয়া প্রেমের  এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু আজিফ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে।