ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শালিশ বৈঠকের আগেই দুই পক্ষের মারা-মারিতে অন্তত ৭ জন
আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করেন। বুধবার বিকালে উপজেলা জামাল ইউনিয়ন পরিষদে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্লার ছেলে শওকত মোল্ল্য(৬০)
ও আলাউদ্দিন মোল্লা (৪৫), একই গ্রামের হাসেম মন্ডলের ছেলে নজির মন্ডল(৪৫), ও
সেলিম (৪০), গহর আলী ছেলে শাহজাহান (৪৫), আকবার মোল্লার ছেলে সোহান
মোল্লা(১৭), গফুর মোল্লার ছেলে আমিরুল (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, গত ২০ জুলাই’২৩ রাতে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম
মোল্ল্যার ছেলে বাবলু মোল্ল্যা ওরফে ঘেনাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্ব জখম করে।
ওই ঘটনা বিষয়ে উভয় পক্ষকে উপজেলা জামাল ইউনিয়ন পরিষদে শালিশি বৈঠকের
মাধ্যমে মিমাংশা করছিলেন জামাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের
হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা। বৈঠকে স্থানীয় সাংসাদ আনোয়ারুল
আজীম আনার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় সাংসাদ উপস্থিত হওয়ার
আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে মারা-মারির ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত
হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমের কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জামাল ইউনিয়ন
পরিষদের দুই গ্রুরুপের মিমাংশা চলাকালিন মারা-মারি হয়। এসময় উভয় পক্ষের ৭ জন
আহত হয়েছে। ঘটনার পর পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত
আছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই’২৩ তারিখে রাতের মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্ল্যার ছেলে বাবলু মোল্ল্যা ওরফে ঘেনা
(৪৫)কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্ব জখম করে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে
উত্তোজনা বিরাজ করছিল।