হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার ৯ নং বারোবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এর বাদেডিহি গ্রামে খাঁ পাড়া অভিমুখে পিস রাস্তার উপর মাহাতাব খাঁর বাড়ির সামনে পাশাপাশি দুইটি বৈদ্যুতিক খুঁটির একটিতে ২৩ টি এবং অপরটিতে ২ টি আবাসিক বৈদ্যুতিক মিটার ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এইসব মিটারগুলোর তার খাম্বার পূর্ব পাশে পুকুরের উপর দিয়ে টেনে বসতবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে আবাসিক এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয় জনগণ। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে গ্রাহকগণ বৈদ্যুতিক সুবিধা ভোগ করলেও তারা কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউই এই ব্যাপারটি আমলে নেননি। এই খাম্বা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন বাদেডিহী গ্রামের মৃত আমজেদ খাঁর ছেলে মোঃ ফিরোজ খাঁ ,মোঃবাদশ খাঁ পিতা সলেমান খাঁ,রাজ্জক খাঁ পিতা লাবা খাঁ,আসলাম খাঁ পিতা আমজেদ খাঁ,কুতুব খাঁ পিতা আমজেদ খাঁ,টিপু খাঁ পিতা আমজেদ খাঁ, টিটো খাঁ পিতা আমজেদ খাঁ,আয়ুব খাঁ পিতা আজেহার খাঁ,রুসনা পিতা শুকুর আলী সবুর মন্ডল পিতা মৃত আতর আলী মন্ডল শরিফুল বিশ্বাস পিতা জলিল বিশ্বাস, শওকত বিশ্বাস পিতা জলিল বিশ্বাস, আকরাম গাজী পিতা ইসহাক গাজী,নজরুল গাজী পিতা ইসহাক গাজী,ইমরান গাজী পিতা আরশেদ গাজী, রিজাউল গাজী পিতা ইসহাক গাজীসহ অনেকে। বারোবাজার ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পূর্ব দিকের এলাকা শুধুমাত্র পিডিবির আওতাধীন এবং বাকি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ। বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপনের নিয়ম অনুযায়ী ২০ গজের মধ্যে হলে মিটার বাড়িতে স্থাপন করার নিয়ম রয়েছে। এর থেকে দূরত্ব বেশি হলে বৈদ্যুতিক খাম্বা বা খুঁটিতে মিটার স্থাপন করা যাবে। মাহতাব খানের বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া গ্রাহক হলেন বাদেডিহি গ্রামের ফিরোজ খাঁ। তার সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, আমাদের বাড়ির নিকট বৈদ্যুতিক খুঁটি না থাকাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমিও আমার প্রতিবেশী অনেকেই এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছি। বুঝতে পারছি এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। বিদ্যুৎ অফিস যদি একটু উদ্যোগ নিতো তাহলে ভালো হতো। স্থানীয় ইউপি সদস্য জিএম শাহিন রেজা বলেন,বাদেডিহি গ্রামের আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ একটি খুটির মাধ্যমে দেওয়াতে দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।আমি ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানর সাথে আলাপ করেছি,আশা করছি অতিসত্বর নতুন খুটি স্থাপনের মাধ্যমে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের সৃষ্ট সমস্যা নিরসন হবে। কালীগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানন,বারোবাজার এলাকার ওই বৈদ্যুতিক খুঁটির ব্যাপারে আমি অবগত। এটা আমাদের প্রোগ্রামে আছে। বৃষ্টির কারণে ঠিকাদারের লোকজন চলে যাওয়াই কাজটি এখনো করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মিটার গুলোর নিরাপদ সংস্থাপন নিশ্চিত করা হবে।