কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মনোহরপুর পুকুরিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) বা জরায়ু মুখ ক্যান্সারের টিকা
নেওয়ার সময় ম্যাশ হিটেরিয়ায় প্রায় ৪০ জন মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় গত ২৪ অক্টোবর থেকে
কালীগঞ্জ উপজেলায় এই টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। সোমবার তৃতীয় দিন সকাল ১০ থেকে মনোহরপুর পুকুরিয়া দাখিল মাদরাসার মেয়েদের এই টিকার দেওয়া কার্যক্রম শুরু হয়। দুই ঘন্টায় প্রায় শতাধিক মেয়ের টিকা দেওয়া হয়। ১২টার দিকে হঠাৎ
করে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রাথমিকভাবে মাদরাসায় সেবা দেওয়ার পর সুস্থ হয়। কিছুক্ষন পর হঠাৎ করেই বিভিন্ন শ্রেণির মেয়েরা অসুস্থ হতে শুরু করে। একে একে প্রায় ৪০ মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। টিকাদান টিমের
সহকারীরা হাসপাতালে খবর দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আলমগীর হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে মাদরাসায় এসে তাদের নিজের গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মাদরাসা সুর্বনা (১৪), মিম খাতুন (১১),
রিমি খাতুন (১২), যুথী খাতুন (১৫, মুন্নি খাতুন (১৫), তারিন সুলতানা (১৫),
ফারিয়া খাতুন (১৪), লামিয়া (১২)ু, শিমু খাতুন (১৪), তুলি (১৪), সোনালি
(১৪), সীমা (১৪), রুমি (১৪) ও জিনিয়া (১৩)। বাকিদের হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মাদরাসার সুপার মাওলানা ইউনুছ আলী জানান, সকালে হাসপাতাল থেকে ৪ জনের একটি টিম মাদরাসার মেয়েদেও ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু করেন। ভ্যাক্সিন দেওয়ার
প্রায় শেষ পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির একজ মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সুস্থ্য হয়ে উঠে। কিছুক্ষণ পর একে একে প্রায় ৪০
জনের মত মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান,
এটাকে ম্যাশ হিসটেরিয়া বা দেখাদেখি আতংকগ্রস্থ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বলে। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখি যে কক্ষে টিকা দেওয়া হচ্ছে সেটা বদ্ধ এবং একটি ফ্যান নষ্ট। আমি গিয়ে সবাইকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসায়। তারপরও যেসব
বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে অধিকাংশয় সকালে না খাওয়া ছিলো। পরবর্তীতে আমি না খাওয়া বাচ্চদের টিকা দিতে নিষেধ করি এবং অসুস্থ বাচ্চাদের আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। সবাই এখন ভালো আছে।