হুমায়ুন কবির,কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১৬ আগস্ট বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কেয়াবাগান নামক স্থানে প্রকাশ্য দিবালোকে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তাদের কাছে থাকা মোট ৫ লাখ ৭ শত টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মুনতাজ রহমান কালীগঞ্জ থানায় বাদী হয় ১৪৩,৩২৩,৩২৪,৩২৫,৩০৭,৩৮৪,৫০৬ এবং ১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানায় উক্ত মামলার নম্বর হলো ১১।এজাহারে তিনি সাতজন আসামির নাম উল্লেখ করেছেন।
তার হলেন – ১. রাখালগাছি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ ইদ্রিস আলী ইদু , পিতা-মৃত রমজান আলী, ২. জাকির , ৩. হাসান , ৪. হোসেন , সর্ব পিতা-মোঃ ইদ্রিস আলী ইদু, ৫. রাফি পিতা-সরোয়ার, ৬.আব্দুল্লাহ পিতা-ওহাব, সর্বসাং-রঘুনাথপুর, ৭. ফাহাদ, পিতা-ইমান আলী, সাং-খোশালপুর, সর্বথানা-কালীগঞ্জ, জেলা-ঝিনাইদহ সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন। উল্লেখিত আসামীদের মধ্যে প্রধান আসামি ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী ইদু ও ৩নং আসামি হাসানকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করেছে ।গরু ব্যবসায়ী মুনতাজ আলী জানান, ১৬ তারিখ সকাল অনুমান ১১ টায় আমি ও আমার বড় ভাই এমদাদুল এবং আমার প্রতিবেশী জামাল একত্রে গরু কেনার জন্য গরু টানা আলমসাধু যোগে গান্না বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করি। পথিমধ্যে আমরা রঘুনাথপুর বাজারে পৌছালে আসামীদের লেগুনা গাড়ির সাথে আমাদের আলমসাধুর সামান্য ঘষা লাগে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই স্থান ত্যাগ করে আমরা বুজিডাঙ্গামুন্দিয়া গ্রামস্থ কেয়াবাগান নামক স্থানে পৌছালে উল্লেখিত আসামীরা পিছনদিক থেকে ০৪ টি মোটরসাইকেলযোগে আমাদের আলমসাধু গাড়ির সামনে এসে আমাদের পথরোধ করে।তাদের সাথে থাকা জাকিরের হাতে থাকা হাসুয়া দা দিয়ে আমার পায়ে কোপ দেয়। হাসান লোহার রড দিয়ে জামালকে মাথায় আঘাত করে । এ সময় হোসেনের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ভাই এমদাদুললকেও আঘাত করে ।উক্ত সময়ে জাকির আমার কাছে থাকা গরু কেনার নগদ ৩ লাখ ৭ শত টাকা এবং হাসান জামালের কাছে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান, গরু ব্যবসায়ীর নিকট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার একটি ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে প্রধান আসামীসহ ২ জনকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বাকি আসামিরাও ধরা পড়বে বলে আশা করছি।