জাবির আহম্মেদ জিহাদ:
জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায় কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে।
ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফয়া খানমের বোন ইরামনি বলেন, “ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কিশোরকণ্ঠ যে মেধাবৃত্তি আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এটি শিশুদের মধ্যে মেধা বিকাশে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা উচিত।
আব্দুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর মা নূরনাহার বলেন, “এটি শুধু পরীক্ষা নয়, বরং শিশুদের মেধা যাচাই ও বিকাশের একটি প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের দক্ষতাকে আরও উন্নত করতে পারবে।
পরীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে কিশোরকণ্ঠ পাঠক ফোরামের ইসলামপুর উপজেলা পরিচালক মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, “ডিসেম্বর মাসে শিক্ষার্থীরা সাধারণত পরীক্ষা শেষ করে অবসর সময় কাটায়। আমরা সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি।
ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর উপজেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার, কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা জুনাইদ আল হাবিব জিহাদ, দেলোয়ার হোসাইন, আরিফুল ইসলাম, আহসানুল বারী আম্মার, রহমাতুল্লাহ এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।
এছাড়া জামালপুর জিলা স্কুল কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের জামালপুর জেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাম্মেল হক এবং কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের জেলা পরিচালক আহমদ সালমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবক ও অতিথিদের মতে, এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শুধু প্রতিযোগিতায় সীমাবদ্ধ নয়; বরং শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।