যশোর মণিরামপুর উপজেলা শ্যামকুড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান নির্বাচনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরপরি আলাউদ্দিনের চেরাগ  পেয়ে যান।

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে, আইন না মেনেই অবৈধ মাটি কাটা থেকে শুরু করে সরকারের উন্নয়নের সড়ক গুলি নষ্ট করে লাগামহীন মাটি সিন্ডিকেট পরিচালনা করে চলেছেন। উপজেলা প্রশাসন কে তোয়াক্কা করেন না তিনি।৬ ফুট ইটের সলিং সড়ক দিয়ে বর্তমানে মাটি উত্তোলন করছেন নির্ভয়ে

।প্রায় ২০ টা পুকুর খনন করেছেন এই ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান। আজ শনিবার,বুজতলা নামক স্থানে ইউপি সদস্য ফজলুর রহমানের মাটির ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে  একটা ছাগল মারা যাই।এছাড়ায় চিকন সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর চলাচলের দুর্ভোগ

যে কারনে সড়কের ইট আলুভর্তার মতো পরিবেশ ধারন করেছে।তার নিকট গণমাধ্যম কর্মীরা সড়ক নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ইউপি সদস্য আমার এলাকার সড়ক আমার নিজের। আমি যেমন নষ্ট কোরবো তেমন সড়ক নতুন করে বাজেট করিয়ে পিচ ঢালায় করে দিবো।তার নিকট গণমাধ্যম কর্মীরা মুটো ফোনে ফোন দিলে আরো বলেন আমার অনুমতি লাগে না,কিসের অনুমতি লাগে।উপজেলা প্রশাসন কি করতে পারে আমি দেখতে চায়।গত ০৩-০৫-২০২৩ তারিখে লাউড়ি মাদ্রাসার ৯ বছর বয়সী ছাত্র ট্রাক্টরের ধাক্কায় গুরুত্ব আহত হয়।মাদ্রাসা পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান সহ একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছেন।

স্হানীয় গ্রাম বাসী জানায় আমরা বার বার উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।কিন্তু কনো প্রতিকর না হওয়ায় আমরা নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।কারন আমাদের অনের বাড়ি রাস্তার ধারে,আমাদের ছোটো সন্তান আছে,এই মাটির ট্রাক্টর চলাচলের কারনে বাচ্চাদের দড়ি দিয়ে বেধে রাখতে হয়।এই মাটি সিন্ডিকেটের কারনে আমরা রান্না করতে পারি না,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি না।বৃদ্ধ পিতা মাতা ধুলায় শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

অনেকে নিজের গর্ভবতী  স্ত্রী কে বাপের বাড়িতে রেখে এসেছেন, দুই বছর যাবত।

কবে হবে এর প্রতিকর?

কবে মুক্তি পাবে শ্যামকুড় সহ ১৭ ইউনিয়নের মানুষ এই মাটি সিন্ডিকেট থেকে?

স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিকট আকুল আবেদন করেছেন এলাকাবাসী কে রক্ষা করার জন্য।

লক্ষ টাকা পকেট করতে কোটি টাকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সড়ক নষ্ট করছে ফজলুর রহমানের মতো নিজ স্বার্থ ধারী রাজনৈতিক নেতা।