ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:
আজ ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সভাপতি শ্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন যে আর এস এস কার্যকলাপ প্রায় ইঁদুরের মতো। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এই রাজ্যে থেকেই বসবাস কারী বাংলাদেশের লোকজন কে তাড়াবার কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।এই রাজ্যের নির্বাচনী সফরে এসে অসম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব সরমা বলেছেন যে তার রাজ্যে থেকেই যেমন করে অনুপ্রবেশ কারী বাংলাদেশের লোকজন কে খেদিয়ে বের করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তেমনি করে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে থেকেই অনুপ্রবেশ কারী বাংলাদেশের লোকজন কে তাড়াবার নিদান দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে আছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও আরজেডি মিলে।এর আগে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনওয়ালা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাঁওতাল পরগনা বসবাস কারী বাংলাদেশের লোকজন কে খেদিয়ে বের করে দেবার আহবান জানান। তিনি বলেন যে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাঁওতাল পরগনা ভূমি ও জায়গা দখল বসবাস করছেন অনুপ্রবেশ কারী বাংলাদেশের লোকজন। এটি হতে দেবনা বিজেপি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলে। এই ঘটনার পর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজনৈতিক মেরুকরণ শুরু হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও আদিবাসী এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একযোগে হেমন্ত সোরেন কে ফের ক্ষমতায় আনতে চায়। অন্যদিকে ব্রাহ্মণ ও উচ্চ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি কে ক্ষমতায় আনতে তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু পোড়খাওয়া রাজনৈতিকবিদ এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন আগে থেকেই মেপে মেপে এড়িয়ে যেতে চান।তার বাবা পাকা রাজনৈতিকবিদ সাবেক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন কে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চান। সেই সঙ্গে পাশে রয়েছে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর নেতা রাহুল গান্ধী। এখন দেখার বিষয় হেমন্ত সোরেন কি বিজেপি কে পরাস্ত করে ফের ক্ষমতায় আসতে পারবে, না বিজেপি র উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে পরাস্ত হতে পারে তা দেখার বিষয়। তবে সমিক্ষায় থেকে জানা যায় যে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কে জিতবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীতে।