ডেস্ক রিপোর্টঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৯ স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি থাকলে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো.শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় ধাপে নিবন্ধনযোগ্য সংস্থাগুলোর তালিকার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।২৯টি সংস্থা হচ্ছে- সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ), ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল পূওর (ডরপ), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নীড় (স্রাবন), রুরাল ভিশন (আরডি), তরফসরতাজ শান্তি সংঘ (টিএসএস) বগুড়া, পিপলস এসোসিয়েশন ফর সোস্যাল এডভান্সমেন্ট (পাশা), পাথওয়ে, এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অফ দ্য কমন পিপল (এলকপ), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, নাইস ফাউন্ডেশন, নারী উন্নয়ন সংস্থা, সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন, সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো), সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন (এসটিএএফ), বিয়ান মনি সোসাইটি।এছাড়া রয়েছে অগ্রগতি সেবা সংস্থা (আসেস), আল-কুরআন প্রচার সংস্থা (আকপস) বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, এআরডি (এসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা, সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, উদ্ভাবনী মহিলা সংস্থা, ভলান্টারী অর্গানাইজেশন ফর দি নীডি (ভন), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (ডিপিইউপি), সেলফ ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ (এসডিআই) ও বেডো আর্থ সামাজিক কেন্দব।এর আগে, প্রথম ধাপে ২১১টি দেশীয় সংস্থা পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। কয়েক দফা যাচাই-বাছাই করে ৬৭টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক জানান, দ্বিতীয়বার ১৪ সেপ্টেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর ১৪৯টি আবেদন জমা পড়ে। ইসির যুগ্ম সচিবের (আইন) নেতৃত্বে সাত সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি প্রাথমিক বাছাই করে। এরমধ্যে ২৯টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আপত্তিকারীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে ছয় সেট আপত্তি দাখিল করতে হবে। আপত্তির শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে জানান তিনি।প্রথম দিকে কিছু নথিপত্র সংক্রান্ত বিষয়াদির কারণে বাদ দিলেও আবারও চুড়ান্ত ভাবে টিকে গেছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।ইএমএফ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী জানান, দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তারই নেতৃত্বে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ইসির নিবন্ধন পেয়েছিল। পরবর্তীতে তারা কিছু সংস্থা নিয়ে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের যাত্রা করলেও ইসির নিবন্ধন নেননি। কিন্তু প্রথম ধাপে এ দুটো সংস্থা আবেদন করলেও কাগজপত্র পর্যাপ্ত না থাকায় বাছাইয়ে টিকেনি। যা দ্বিতীয় ধাপে এসে আবারও আবেদন করা হয়েছে। দুটো সংস্থাই প্রাথমিক বাছাইয়ে রয়েছে। এই প্রথমবারের মতো ২৬ পর্যবেক্ষক সংস্থার একটি মোর্চা ইএমএফ নিবন্ধনের জন্য বাছাই হয়েছে।বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিঞা নেতৃত্বাধীন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নামে সার্ক নাম ব্যবহার ও লোগোর সাদৃশ্যতা নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। এবার এ নিয়ে অনাপত্তিপত্রও দেওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অধ্যাপক আবেদ আলী আরও জানান, নিবন্ধন ঘোষণার পরে (ইএমএফ) তথা ফোরামের হয়ে অন্তত ১০ হাজার পর্যবেক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি অবগত করেন।
সি,বিশ্বাস/ নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪