ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:
আজ ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শন্কর জানিয়েছেন যে খুব জরুরী কাজ ও প্রয়োজন এবং চিকিৎসা সেবা ছাড়া ভারতে ভিসা পাবেন না বাংলাদেশের লোকজন। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এবং ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা কে।তার পর সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সরকার গঠন করে। এবং অর্থনৈতিকবীদ ডঃ ইউনুস সাহেব সেদেশের সরকার এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর পর গত ২৫,শে অগাস্ট সেদেশের মানুষ চিকিৎসা সেবা করতে ভারতে আসার আবেদন করেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণে আবেদন জমা পড়ার পর ভারতের ঢাকা অবস্থিত দূতাবাস থেকে নিউ দিল্লি তে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে তুলে ধরেন সব কিছু।তার পর ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এবং আপৎকালীন চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ছাড়া কোন ভিসা দেয়া যাবে না।এর পর জানা গেছে যে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তে বহু মানুষ আছে যারা গত সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম ও হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফেরার হয়ে ভারতের মাটিতে আসতে চায়।এর মধ্যে পুলিশ এবং রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীরা রয়েছে। রয়েছে আমলা ও সচিবালয়ে কর্মীরা যারা বিগত বছরে সরকারের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
তাই এই সমস্ত ঘটনাবলি পর ভারত চায় না তার প্রতিবেশী দেশ এর সাথে সুসম্পর্ক নস্ট হয়ে যায়। এবং অবৈধ লোকজন সেই সুযোগ নিয়ে ভারতের মধ্যে প্রবেশ করুক।তাই আগে থেকেই ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ভারতের মধ্যে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে ভিসা কড়া করা হয়েছে।এর পর যদি বাংলাদেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে তাহলে আগের মতো ভিসা চালু করা হবে।