প্রিন্স সোহাগ:
আরবী মহররম মাসের ১০তারিখ
মহররমের ১০ম দিবসে সংঘটিত বহু ঘটনা হতে কয়েকটি হলোঃ-
১/ আশুরার দিনে হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়।এই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন।
এই তারিখেই জান্নাত হতে পৃথিবীতে প্রেরিত হন ও বহু বছর পর এই তারিখেই আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতে তিনি এবং বিবি হাওয়া (আ:)-এর পুনরায় সাক্ষাৎ লাভ হয় ও তাঁদেরকে মার্জনা করা হয়।
২/ এই দিবসে হযরত ইদ্রিস (আ.) কে আকাশে উত্তোলন করা হয়।
৩/ হযরত নূহ (আ:) কে তুফান এবং প্লাবনের পানি হতে পরিত্রাণ দেওয়া হয়।
৪/ হযরত আইয়ুব (আ:) কে ১৮ বছর রোগ ভোগের পর রোগ মুক্তি দেওয়া হয়।
৫/ হযরত ইব্রাহিম খালীলুল্লাহ (আঃ) কে অগ্নিকুণ্ড হতে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়।
৬/ হযরত দাউদ (আ:) কে বিশেষ ক্ষমা করা হয় ও হযরত সুলাইমান (আ:) কে স্বীয় হারানো বাদশাহী পুনরায় ফেরত দেওয়া হয়।
৭/ হযরত ইউনুছ (আ:) কে ৪০ দিন পর মাছের উদরে থাকার পর নিষ্কৃতি দেওয়া হয়।
৮/ এই দিনে হযরত ইয়াকূব (আ:) স্বীয় হারানো পুত্র হযরত ইউসুফ (আ:) এর সাক্ষাৎ লাভ করেন।
৯/ হযরত মূসা (আ:) ফিরাউনের কবল হতে নিষ্কৃতি লাভ করেন।
১০/ হযরত ঈসা (আ:) কে আকাশে উত্তোলন করা হয়।
১১/ আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (স:)-মক্কা শরীফ হতে হিজরত করে মদীনা শরীফে আশুরার এই তারিখে তাশরীফ নেন।
১২/ এই ১০ মহররম দিবসে নবী করীম (স:)-এর কলিজার টুকরা ফাতেমা (রা:)-এর নয়নমণি হযরত ইমাম হুসাইন (রা:) ও তাঁর ৭৭ জন পরিজন এবং ঘনিষ্ঠজন জালিম ইয়াজিদের সৈন্য কর্তৃক কারবালা প্রান্তরে, ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ
যে ব্যক্তি আশুরার দিন নিজ পরিবার-পরিজনদের জন্য মুক্ত হাতে ব্যয় করবে, আল্লাহ তাকে সারা বছর সচ্ছলতা দান করবেন।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে।
এই পবিত্র আশুরা ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কলিজার টুকরা ইমাম হাসান হোসাইন (রাঃ) এর উসিলায় আমাদের সকলের গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দিন।