আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান

লেখক: mosharraf hossain
প্রকাশ: 2 years ago

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান যোগদান করেই দুর্নীতির মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।

জানা যায়,২০১৯ সালে কালিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে লালমনিরহাট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আমান উল্লাহ আল হাসান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দান করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে তিনটি ট্রেডে ৬ষ্ঠ থেকে এসএসসি পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান নিজস্ব তিন জন কর্মচারীর সমন্বয়ে বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার করে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ টি ট্রেডে অটো মোবাইল এন্ড অটো ইলেকট্রিক বেসিকস, ফার্ম মেশিনারি ও জেনারেল ইলেকট্রিক্স শাখায় বিভিন্ন শ্রেনীতে প্রায় ৬ শত ছাত্র/ছাত্রী পড়া শুনা করছে। আইটি সাপোর্ট এ্যান্ড আইওটি বেসিক নামের একটি ট্রেডের অনুমতি থাকলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান চালুই করতে পারেননি।

কালীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে আবাসিক ভবন না থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাডেমিক ভবনটির ৫ম তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারিরা একাডেমিক ভবনটিকেই আবাসিকে পরিনত করেছেন। ফলে সরকার বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

বর্তমানে ২৭ জন ছাত্র/ছাত্রী এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে। একই প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র হওয়ায় ছাত্র/ছাত্রীদের অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ১৪৪ ধারা এরিয়ায় পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে সকল স্টাফকে কেন্দ্রেই দেখা গেছে।আফজাল উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সেলিনা খাতুন প্রতিদিনই পরিক্ষা পরিদর্শক হিসেবে থাকছেন যা আইনত অপরাধ এবং একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও পরিক্ষা পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে যাহা নিয়মবর্হিভূত কাজ। এত অপরাধের রাজা প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কালীগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান ফোন কেটে দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন,অভিযোগ গুলো শুনলাম তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রংপুর বিভাগীয় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন,বিষয় টি শুনেছি এগুলো অপরাধ যোগ্য কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

error: Content is protected !!