অনলাইন স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য ১৫.৩ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে পারলে নেট রানরেটে ভারতকে ছাড়িয়ে যেত অস্ট্রেলিয়া।
সেটা তো দূরের কথা, ম্যাচই জিততে পারেনি অজিরা। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
এই হারে আসর থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
আর আজকের জয়ে গ্রুপ-১ থেকে প্রথম দল হিসেবে সেমির টিকিট পেয়েছে ভারত। তাদের এই জয়ে জমে উঠেছে বাকি তিন দলের সেমির সমীকরণ। এখন তিন দলেরই সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেঁচে রইলো।
বাংলাদেশকে মঙ্গলবার ভোরের ম্যাচে হারালে কোনো হিসেব ছাড়াই সেমিতে যাবে আফগানিস্তান।
তবে বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৬০ রান করে এবং ৬২ রানের ব্যবধানে জিততে পারে তাহলে সেমিতে যাবে টাইগাররা।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন রোহিত। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যর্থ ডেভিড ওয়ার্নার। এই অভিজ্ঞ ওপেনার ফিরেছেন ৬ বলে ৬ রান করে। তবে ওয়ার্নারের বিদায় খুব একটা প্রভাব ফেলেনি অজিদের রান রেটে। শুরু থেকেই ঝোরো গতিতে রান তুলেছেন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ।
এ দুজনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া।
মার্শকে ৩৭ রানে ফিরিয়ে রানের গতিতে লাগাম দেন কুলদিপ যাদব।
চারে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে ১২ বলে ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হেড। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি আর কেউই। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৭৬ রানে থেমেছেন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় অজিরা।
শেষদিকে টিম ডেভিড-প্যাট কামিন্সরা চেষ্টা করেছেন। তবে তা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে, জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিরাট কোহলিকে হারায় ভারত। আসরের শুরু থেকেই অফফর্মে আছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সর্বশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ছিলেন আসরের সেরা রান সংগ্রাহক। তবে বিশ্বকাপে এসেই যেন খেই হারালেন।
নিজেকে হারিয়ে খোঁজা কোহলি আজও ডাক খেয়েছেন। ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পারা এই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন জশ হ্যাজলউড।
কোহলি দ্রুত ফিরলেও এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত।
পাওয়া প্লে শেষ হওয়ার আগেই ১৯ বলে ফিফটি করেন তিনি। যা চলমান আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লেতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫১ রান। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে কোনো ব্যাটারের থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান।
রোহিত এক প্রান্তে টর্নেডো বইয়ে দিলেও আরেক প্রান্তে বেশ ভুগেছেন ঋষব পান্ত।
তিনে নেমে রান করতে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে তার। শেশ পর্যন্ত ১৪ বলে ১৫ রান করে ফিরেছেন তিনি।
কোহলি-পান্তকে হারিয়েও সাবলীল ছিলেন রোহিত। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। তবে ১২তম ওভারে এই ওপেনারকে বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক।
রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ বলে ৯২ রান। যেখানে ৭ চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছেন এই ওপেনার। তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ২২৪ স্ট্রাইকরেটে।
রোহিতের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে ভারতের মিডল অর্ডার। সূর্যকুমার যাদব-হার্দিক পান্ডিয়ারা যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন। সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ৩১ রান। ১
৭ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক।
সি, বিশ্বাস/ নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪