খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা গুচ্ছ গ্রামের মো.মনিরুল ইসলাম চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুপথযাত্রী। এক সময় ব্যবসা করে বউ বাচ্চা নিয়ে ভালই চলছিল তাঁর সুখের সংসার। হঠাৎ দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তে হয়ে ভিটে মাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করে সব সম্ভাল শেষ করে ঠাঁই হয় গোবরা গুচ্ছ গ্রামের ১৭৩ নম্বর ঘরে। অভাবের সংসারে বউ বাচ্চা কে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। অসহায় মনিরুল ইসলাম কে তার মা গ্রামে ভিক্ষা করে কোন রকমে খাওয়ায় কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় দিন দিন মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে অসহায় মনিরুল ইসলাম। কয়রা সাংবাদিক ফোরামের পেইজে সংবাদটি দেখতে পেয়ে পাশে দাঁড়ালো ইয়াং মুসলিম সোসাইটি।ইয়াং মুসলিম সোসাইটি মনিরুলের বাড়ীতে আর্থিক সহযোগীতা প্রদানকারী টিম প্রেরণ করে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইয়াং মুসলিম সোসাইটি আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
বুধবার সকালে গোবরা গুচ্ছ গ্রামে ইয়াং মুসলিম সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী সদস্যবৃন্দ মনিরুল ইসলামের সাথে দেখা করে তাঁর মায়ের হাতে চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন।
আর্থিক সহযোগিতা প্রদান কালে উপস্থিত ছিলের কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু,ইয়াং মুসলিম সোসাইটির আর্থিক সহযোগিতা প্রদানকারী টিমের সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম, মাষ্টার শাহারুল ইসলাম, শেখ আব্দুস সালাম ও শেখ আসাদুল ইসলাম।
মনিরুলের মা আমেনা বেগম বলেন, আমরা ঠিক মত দুবেলা খেতে পাইনে সেখানে মনিরুলের চিকিৎসা করানো খুব কঠিন।তোমাইগা দেওয়া টাকা পেয়ে অনেক উপকার হবে।
ইয়াং মুসলিম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. রোকনুজ্জামান বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভাল লাগে।অসহায় মনিরুলের চিকিৎসায় আমরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁর পাশে একটু সাহায্যের হাত বাড়ালে তিনি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন।
গোবরা গুচ্ছ গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান মিস্ত্রী বলেন,গোবরা গুচ্ছ গ্রামে এমনও পরিবার আছে, যারা অসহায়ের মত জীবনযাপন করছে।এদের মধ্যে মনিরুল সব থেকে বেশি অসহায়। তাকে চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে উঠবে।তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইয়াং মুসলিম সোসাইটি কে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, ইয়াং মুসলিম সোসাইটি ২০২৩ সালে কয়রার সেরা সামাজিক সংগঠন নির্বাচিত হয়েছে।কয়রা এলাকায় ১৫টির অধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ইয়াং মুসলিম সোসাইটি ।তাদের অধিনে বর্তমানে তিনটি কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র সহ অন্যান্য সামাজিক প্রকল্প চালু আছে।