সিলেট প্রতিনিধি :
সরকারি নীতিমালা (জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১) লঙ্ঘন করেই অধ্যক্ষ পদ ভাগিয়ে নেওয়া ও মহামান্য হাইকোর্ট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত আদেশ অবমাননা ও চিঠি গুম করার অভিযোগ উঠেছে মইন উদ্দিন আর্দশ মহিলা কলেজ এর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান এর বিরুদ্ধে।
অধ্যক্ষ আবিদুরের নানা অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রভাষক মাহবুবুর রউফ নয়ন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় আওয়ামীপন্থী অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান ২০২১ সালে যে সার্কুলারে কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন তা বিধিমোতাবেক ছিল না।
সরকারি নীতিমালা ও জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর লঙ্ঘন করে ঐ সার্কুলারের মাধ্যমে কলেজ গভর্নিং বডি কর্তৃক অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন।
আবিদুর রহমান অধ্যক্ষ হওয়ার পর নয়ন বিগত (২২.৯.১৯ ইং) তারিখের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য তাঁর নিকট লিখিতভাবে আবেদন করেন।
কিন্তু তিনি তা বাস্তবায়ন করেননি বরং কলেজ সভাপতির (২০.৬.২১ তারিখের) চিঠি সহ বিভিন্ন দালিলিক প্রমাণ গুম করে ফেলে বিতর্কিত কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন।
নয়ন তারঁ বিতর্কিত নিয়োগের বিরুদ্ধে মাউশি সিলেট পরিচালক, মাউশি মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তার ঐ লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মাউশি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ২২ মাস (যোগদানের পর থেকেই) আবিদুর রহমানের এমপিও আটকানো হয় এবং এই বিতর্কিত নিয়োগের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী দলীয় চাপের কারণে ঐ তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত হয়।
পরর্বতীতে ২০২২ সালে ২৫ ডিসেম্বর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে নয়ন ইউকে আসার পর পরই সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন এর সহযোগিতা ও আওয়ামী দলীয় বিবেচনায় বিধিবহির্ভূতভাবে তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এমপিও জন্য আবেদন করেন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বেআইনিভাবে এমপিও বেতন এর টাকা (বকেয়া বেতন ভাতা) সহ ফিরিয়ে আনেন বলে জানা যায়।
এছাড়া প্রভাষক নয়ন বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিগত ১.৪.২৪ সালে (৩য় বারের মতো) কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত চিঠি পাঠানো হয়।
কিন্তু তিনি ঐ রায় বাস্তবায়ন না করে চিঠি গায়েব করে ফেলেন এবং গত ২৮.৮.২৪ তারিখে তার ফেইসবুক বিরুপ মন্তব্য করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ আবিদুর রহমানের বিতর্কিত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান প্রভাষক নয়ন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান কে বলেন, শিক্ষক নয়ন বরখাস্ত হন আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে। আইনি পক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি পুনর্বহাল বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করি।
এ বিষয়ে কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই জিন্নাহর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।