রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান বলেন, রংপুর মহানগরীতে সিটি সার্ভিস চালু করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাথে কথা হয়েছে, আবারো কথা হবে। মটর মালিক, শ্রমিক সকলের সহযোগীতা পেলে আগামী অক্টোবর মাসেই সিটি টাউন সার্ভিস চালু হবে।আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে মেট্রো ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের সহযোগীতায় পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সুধিজনের সাথে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় মেট্রো কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছেন তা করে দেখিয়েছেন, এখন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মাট বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে কাজ করছেন, যার সফলতা আমরা ইতিমধ্যে পাচ্ছি। তাই পুলিশকেও স্মাট হতে হবে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। পুলিশকে জনগনের বন্ধু হতে হবে, হয়ে সকলের সেবায় কাজ করতে হবে। যেখানে থাকবে উন্নয়ন বান্ধব, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা।
কমিশনার আরো বলেন, আপনারা বলেন মালিক, শ্রমিক, পুলিশ তিনটা অংশের সমন্বয়ে মটর বিভাগ চলে একটির সংগে অন্যটি জরিত। আমি মনে করি তা নয় তিনটি আলাদা অংশনয় একটি অংশ। আমরা যেমন আপনাদের সহযোগীতা করবো পাশাপাশি আপনারাও আমাদের সহযোগীতা করবেন। আমাদের ট্রাফিক বিভাগ মামলা করে জরিমানা আদায় করে এতে আমাদের খুব খারাপ লাগে, কেননা তাদের ইনকাম কতো। কিন্তু আইন মানাতে গিয়ে বাধ্য হয়ে মামলা করতে হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের বাইপাসসহ রোড ম্যাপ দেন আমরা সিটি মেয়রের সঙ্গে পরামর্শ করে সকলের সমন্বয়ে করে রোড পলিসি করবো। প্রধানমন্ত্রী রংপুরে বক্তব্য প্রদান করার পর রংপুরে গ্যাসের কাজ খুব জোড়ে সোড়ে শুরু হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাস আমরা পেয়ে যাব। তাহলে আমাদের কাজের গতি আরো বেড়ে যাবে। আমরা একটি ভিষন নিয়ে এগোতে চাই। রংপুর শহরকে বসবাসের যোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সকলে এক সাথে কাজ করলে তা সম্ভব।মতবিনিময় সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন মিঞা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, বিআরটিএ রংপুরের সহকারী পরিচালক ফারুক আলম, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি মোজম্মেল হক, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এমএ মজিদ, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি খতিবর রহমানসহ সূধীসমাজ। এ সময় মেট্রোপলিটন পুলিশ, মটর মালিক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।