সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষকের অভাবে আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়ার ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হক বুধবার (২২ জানুয়ারি) শোকজ পত্র প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মাদ্রাসা সুপার এই পত্র গ্রহণ করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে ভুগতে থাকা এই মাদ্রাসায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন আয়া রত্না খাতুন এবং নৈশপ্রহরী নাঈম হোসেন। ২০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে “উল্লাপাড়ায় নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া দিয়েই চলছে পাঠদান” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
নৈশপ্রহরী ও আয়াকে দিয়ে ক্লাস নেওয়া সম্পর্কে তাদের বক্তব্যে জানা যায়, গত দেড় বছর ধরে মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষক নেই। ফলে বাংলা, ইংরেজি এবং গণিতসহ অন্যান্য বিষয়ে ক্লাস নেওয়ার জন্য এই দুই কর্মচারীকে কাজে লাগানো হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিন জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি স্বীকার করেন, এটি নিয়মবহির্ভূত হলেও আয়া রত্না খাতুন সম্মান (অনার্স) পাস এবং ভালোভাবে পড়াতে সক্ষম। তবে শিক্ষক নিয়োগ পাওয়া গেলে এমন ব্যবস্থা আর চালু থাকবে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হক বলেন, শিক্ষক সংকট থাকলেও আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।