মুক্তিযোদ্ধা হয়েও বঞ্চিত শ্রীপুরের সিরাজুল ইসলাম 

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

মোঃ ইমদাদ,মাগুরা প্রতিনিধিঃ

পাকসেনাদের আতঙ্কিত ছিল আকবর বাহিনীর অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও এখনো বঞ্চিত,মাগুরা শ্রীপুর  উপজেলার সোনানাতুন্দী গ্রামের সুযোগ্য সন্তান সিরাজুল ইসলাম ।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সময় বীরত্বের সাথে আকবর বাহিনীর অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন , তিনি ছিলেন আকবর সাহেবের বিশ্বস্ত সহচর তাকে ঘিরে উল্লেখিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি গাঁথা বইয়ের মরক তৈরি করেছিলেন আকবর বাহিনীর প্রধান আকবর হোসেন, তাকে ঘিরে কিছু খন্ড বিশেষ প্রকাশ করা হলো।

মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাকে ঘিরে বইয়ের মরক প্রকাশের মুক্তিযুদ্ধের প্রক্কালের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের জানান।যুদ্ধ বিরোধী চাঁদ খাঁর নাবালক পুত্র তার ভাইয়ের স্ত্রী ও আরো চারজন ছেলে মেয়ে তাদের কাছে ধরা পড়ে। চাঁদের দলের চারটি রাইফেল তাদের কাছে হস্তান্তর করে ।

আকবর বাহিনীর বীরত্বগাথা ও তাদের সকল অভিযানের বিষয় নিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে ফলাওভাবে প্রকাশিত হয় এমত অবস্থায় তাতে মুক্তিযোদ্ধের সকল সদস্যদের মনোবল আরো বেড়ে যায় এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাও দেখা দেয় জনগণ উৎসাহিত হয় এতে তাদের মুক্তিযুদ্ধের পারস্পারিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা,মূললক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

তাদের একদিকে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই চলতে হচ্ছে অপরদিকে অধিনায়ক আকবর সাহেবের নির্দেশে দেশের চোর-ডাকাত উপদ্রব নির্মুল করার প্রচেষ্টা ও চলে জন্মভূমি মর্যাদা রক্ষার্থে কঠোর পরিশ্রমের ফলে অর্জিত হয়েছিল তারই প্রতিফলন আজ স্বাধীন বাংলা।অধিনায়ক আকবর সাহেব প্রত্যেক মুক্তিযুদ্ধাকেই নির্দিষ্ট হারে কিছু হাতখরচ দিতেন অনেক মুক্তিযোদ্ধারা সে টাকা হতে কিছু কিছু টাকা তাদের বাবা-মায়ের ও স্ত্রী-পুত্রদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন সমগ্র অঞ্চলের মধ্যে মোট ১০টি আঞ্চলিক বাহিনী ছিল, তাদের মধ্যে সবচাইতে উন্নত ও বৃহত্তর বাহিনী ছিল আকবর বাহিনী

এ মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী শুধু শ্রীপুর এলাকায় নয় ঝিনাইদহের গাড়াগঞ্জ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যুদ্ধের দুর্গ গড়ে মুক্ত অঞ্চল তুলতে সক্ষম হন।আকবর বাহিনী তথা সিরাজ বাহিনী বলে এ বাহিনীর পরিচিত ছিল অনেকটাই তুঙ্গে।অতঃপর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সিরাজুল ইসলাম অস্ত্র জমা দিয়ে নিজ কর্মস্থল পুলিশের চাকরিতে আবার পুনরায় যোগদান করেন।পক্ষান্তরে ২০০৩ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন বর্তমান সে অবসরে জীবন যাপন করছেন দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু আজও জনগণ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারেনি বলে তিনি দাবি করেন ।

এমত অবস্থায় অত্যান্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য =সে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেরিও আজও সরকারের বরাদ্দকৃত চলমান মুক্তিযোদ্ধের সম্মাননার তালিকায় প্রকাশিত হয়নি ।মুক্তিযুদ্ধার সম্মাননার নামকরণে উল্লেখিত প্রমাণাদি অনুযায়ী শ্রীপুর বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মরহুম আকবর সাহেব এবং মরহুম নবুওয়াত হোসেন মোল্লার ওয়াদা পূরণের সম্মানার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রদান করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সহ তার সহপাঠী সকল মুক্তিযোদ্ধা গন।

error: Content is protected !!