স্টাফ রিপোর্টার:
ভিকটিম বাবু দাসের সাথে আসামী মুকুল গাজীর মাছের ঘের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২০০০ সালের জুন মাসে ভিকটিম বাবু দাস কে হত্যা করে বাড়ির পাশে বাশঁবাগানে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে হত্যার ০৪ দিন পরে ভিকটিম বাবু দাসের লাশ পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম বাবু দাসের বাবা বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় ০১ টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী মুকুল গাজীকে যাবজ্জীবন সাজাসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ০৫ বছর সাজা প্রদান করেন। আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। পরবর্তীতে র্যাব-৬ আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
১০ সেপ্টেম্বর র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মুকুল গাজী যশোরে আত্মগোপনে আছে। র্যাব যশোর জেলার শার্শা থানার বাগাছাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাতক্ষীরা জেলার আসাশুনি থানার মুকুল গাজীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।