মণিরামপুরে সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ কর্মীর স্ত্রীকে শীলতাহানীর চেষ্টা এবং জোরপূর্বক জামায়াত বিএনপির ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা জমি দখলের পায়তারা 

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

অমিতাভ মল্লিক,প্রধান ক্রাইম রিপোর্টার:

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হাকোবা ১ নং ওয়ার্ডে ২৯ মে সোমবার সকালে আনুমানিক ৯ টা ৪৫ এর দিকে জমি জায়গা বিরোধ নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেনের স্ত্রী জুই খাতুন কে শীলতাহানীর চেষ্টা করা হয়।জুই খাতুন বলেন ওরা আমাকে দাপটে ধরে আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করলে আমার ওড়না ছিড়ে যায়। ভয়ে আমার ছোট মেয়ে কনা কাঁদতে থাকে।বসত বাড়ির সীমানা প্রচীর ভাজ্ঞচুর, ঘরের চাল খুলে নিয়ে যওয়া সহ ভ্যান নিয়ে আসে ইট গুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য।একটি লিচু গাছ ছিল সেটাও কেটে ফেলে দেয় ওই জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসীরা।

হাকোবা গ্রামের আবুল কালাম দীর্ঘ ২৩/২৪ বছর আগে এই জমিটি ভোগদখল করে আসছে। আবুল কালাম বেশ কয়েক মাস আগে মারা যাওয়াই তার ছোটো ছেলে ফয়সল হোসেন ঘর নির্মাণ করতে ভিট তৈরি করে।কিন্তু এই জমির মালিক দাবিকারি মৃত করিম মোড়লের মেয়ে শামসুর নাহার পুলিশ নিয়ে সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ করে। অতঃপর সন্ত্রাসী বাহিনী জামায়াত -বিএনপির নেতা কর্মী দ্বারা ভাংচুর তান্ডব চালানো হয়। এ বিষয়ে মণিরামপুর থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে আসামী করা হয় শামসুন নাহার স্বামী ইদ্রিস আলী,কামরুন নাহার,নাজমুন নাহার(পাখি)আব্দুল আলীম,পিতা মৃত বাবর আলী, মনজুর সরদার, পিতা মৃত আাজিদ সরদার,সহ অঙ্গাত আরো ১০ /১৫ জনের নামে অভিযোগ করেন।সরজমিনে গণমাধ্যম কর্মীরা অনুসন্ধ্যানে যেয়ে জানা যায় ২৯শে মে সকাল ৯টা ৪৫ এর দিকে ভাড়াটিয়া জামায়াত বিএনপির পাতি নেতা জিহাদ হেসেন পিতা হজরত আলী,যুবদল নেতা শাহিন সরদার ও সাব্বির গাজী,জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য,রবিউল সরদার ও হান্নান সরদার,রাকিব,যুবদল নেতা ইদ্রিস,রিপন,রবিউল, নুর-ইসলাম,মোসলেম গাজী,বাক্কার,মতি,নুরুল হুদা,কুদ্দুস,সহ আরো ২০/৩০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা সীমানা প্রাচীর, বিছালী ঘর,ভাংচুর করে ইটপাটকেল লুটপাট করিয়ে নিয়ে যায় এবং আফজাল হোসেনের স্ত্রীকে শীলতাহানীর চেষ্টা করে। নিজের ইজ্জত বাঁচিয়ে দৌড়াতে গেলে জামাত দিনটি সন্ত্রাসীরা তার বুকের ওড়না ছিড়ে দেয়।ভাংচুরের ঘটনা শুনে ফয়সাল হোসেন ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনা স্থানে মণিরামপুর থানা পুলিশ, এস আই আতিকুর রহমান ঘটনা স্থানে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এ বিষয়ে বিবাদী শামসুন নাহারের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা আজকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি একজন সাংবাদিক,ঢাকায় কাজ করি।কোন পত্রিকায় কাজ করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সাংবাদিক না। তিনি চড়াও হয়ে বলেন আপনারা থানায় আসেন কথা হবে।এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিম হোসেন গণমাধ্যমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানায়,দীর্ঘ দিন যাবত জমিজমা সক্রন্ত বিভেদ চলে আসছিল। একটি দেওয়ানী মামলা আদালতে চলমান আছে।তারা ঘর করতে যাওয়ায় বিবাদী মণিরামপুর থানায় অভিযোগ করেন পুলিশ ঘটনা স্থানে যেয়ে কাজ বন্ধ করে আসে।থানায় কাগজ পাতি নিয়ে একটি বসাবসির কথা ছিলো তার মাঝে আজ প্রাচীর বিছালী ঘর ভাংচুর করে।আমি ঘটনার খবর শুনে সরজমিন যেয়ে দেখে আসছি।এবিষয়ে মণিরামপুর থানা ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম,পুলিশ জানিয়েছেন প্রাচীর ও বিছালী ঘর ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত চলমান পরবর্তী আইননুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

error: Content is protected !!