প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ৭ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় শেষ পাতায় “সীমান্তে গরুর চোরাচালানে পাইলট প্রথা ” এই শিরোনামে প্রকাশিত হয় যা আংশিক মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আংশিক মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।
গত ৭ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আমার নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী স্মার্ট ও নিরাপদ কুড়িগ্রাম-৪ গঠনের জন্য মাদক, চাঁদা ও দখলদিত্ব চোরাকারবারিমুক্ত এবং টোল চার্ট অনুযায়ী হাট ঘাটের খাজনা আদায় করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই কাজ করতে গিয়ে মাদক সরবারাহকারী ও চোরাচালানকারী ও অতিরিক্ত টোল আদায়কারীরা বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদানের চেষ্টা করেন। আমি সরকারি সকল প্রশাসনকে সাথে নিয়ে জনবান্ধন ও জনকল্যাণ কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জুন ২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন রৌমারীর সব চেয়ে বড় হাট বাজার অতিরিক্ত ফি বাদ দিয়ে টোল র্চাট অনুযায়ী টোল আদায়ের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এতে ইজারাদার সাফায়েদ বিন জাকিরের পিতা সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জকে দেখে নেওয়া হুমকি প্রদান করেন।
গত ২২ জুন ২০২৪ ইং তারিখে আমার অনুরোধে রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের জরুরি বিশেষ আইনশৃংখলা মিটিংয়ের আয়োজন করেন। ওই মিটিংয়ে উদ্দেশ্য ছিল মাদক বিরোধী সামাজিক কমিটি গঠন। রৌমারী উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বারগণ, চৌকিদার, দফাদার, পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবি উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে প্রবেশ করেন এবং গত দিনের ঘটনার ক্ষোভ থেকে একান্ত নিজেশ্ব বক্তব্য প্রদান করেন। যা বিভিন্ন পত্রিকায় গরুর চোরাচালানের রেড বাড়িয়েছেন ওসি এই শিরোনামসহ বেশ কিছু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
আমি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তথাকথিত পাইলট প্রথা ভেঙে দেই। বর্তমানে কোন পাইলট প্রথা নেই।
মাদক রুখতে ও চোরাকারবারী নির্মুল করতে স্থানীয় জনগণকে উদ্বূদ্ধ করি৷ সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ করতে বলি।
প্রশাসনকে মাদককারবারি ও চোরাচালানকারীদের তথ্য প্রদান করতে গিয়ে আবুল কালাম ও মিষ্টার নামে দুজন শারীরিকভাবে আহত হন। ওই ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।
উল্লেখিত সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উল্লেখ করা হয়েছে আমি পাইলট পরিবর্তন করে নিজেদের লোক দিয়েছি ও লতিফ উল আলম লালনকে আমার ডান হাতে হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। আমি কুড়িগ্রাম চার আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার সকল জনগণ আমার কাছে আসে ও আসবে। সকলেই আমার কাছে সমান। কেউ আমার ডান বা বাম হাত নয়।
মাদক ও চোরাকারবারি রোধে সরকারের সকল প্রশাসনকে সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি হাতে নেই। এই ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
বিপ্লব হাসান পলাশ
সংসদ সদস্য
কুড়িগ্রাম -৪