নড়াইলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ১৪ বছরের নাবালিকা শিশু কে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

সাজ্জাদ তুহিন,নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের শম্ভুডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মাদ সাহাদৎ হোসেন সুজন (৪৫) এর মাদ্রাসা পড়ুয়া দ্বিতয় জামাতে অধ্যায়ন রত নাবালিকা কন্যা সাইফা আক্তার (১৪) কে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। বাদী ভিক্টিমের পিতা মোহাম্মাদ শাহাদৎ হোসেন সুজন (৪৫) এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ০৪ জুলাই মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যায় বাদ মাগরিবের পরে সাইফা আক্তার প্রতিবেশি রেজা মোল্লার বাড়িতে ঘুরতে যায়। এসময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা পার্ষবর্তী চিলগাছা রঘুনাথপুর গ্রামের বহুল আলোচিত মাদক সম্রাট পুলিশের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত ঘোলা মোস্তর ছেলে শাকিল উদ্দিন (১৯) সহ অজ্ঞাত আরো দুই থেকে তিনজন সাইফা আক্তার কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওদিকে মেয়ের বাবা মা গভীর রাত পর্যন্ত মেয়েকে খোঁজা খুঁজি করে না পেয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি জিডি অভিযোগ দায়ের করেন। যার নাম্বার ২১২। ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০।

ঘটনার পরেরদিন ৫ জুলাই বুধবার জেলা পুলিশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভিকটিম সাইয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। এবং ভিকটিমের দেওয়া তথ্য মতে এক নম্বর আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এবং ভিক্কিম সাইফা আক্তার (১৪) কে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মেয়ে সাইফার বাবা মোঃ শাহাদৎ হোসেন সুজন সাংবাদিক দের আরও জানান, আসামী শাকিল উদ্দিন প্রায়ই আমার মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। আমার মেয়ে আসামীর প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় সে বিভিন্ন লোক মারফতে আমার মেয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোর পূর্বক তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিতো। এমনকী শাকিলের মাকে দিয়ে আগেও বেশ কয়একবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ঠা জুলাই আসামী শাকিল তার মায়ের ইন্ধনে দুই বন্ধু কে সাথে নিয়ে আমার মেয়ে কে অপহরণ করে। পরে পুলিশের তৎপরায়তায় মেয়ে কে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এবিসয়ে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জিডির সূত্র ধরে ভিক্টিম সাইফা কে উদ্ধার করেছি।এবং অভিযুক্ত আসামী শাকিল কে গ্রেফতার ও করেছি। আগামী রবিবার ভিক্টিম কে আদালতে নিয়ে ১৬৪/ জবানবন্দি নেওয়া হবে। এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

error: Content is protected !!