তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চার্জার ফ্যানের দাম

লেখক:
প্রকাশ: 2 years ago

ডেক্স রিপোর্টারঃ

তীব্র তাপমাত্রার মধ্যে সারাদেশের মতো যশোরে বেড়েছে লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক দেড় ঘণ্টার আগে আর আসছে না। দিনের মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটছে অনন্ত ছয়/সাত বার। এসময় গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে চার্জার ফ্যান। তবে হুট করেই বেড়ে গেছে এই ফ্যানের দাম।

ক্রেতাদের দাবি, মাত্র একদিনের ব্যবধানে যশোর বাজারে চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রচণ্ড খরতাপের কারণে ঈদের কেনাকাটা কমিয়ে এখন ফ্যান কেনার দিকে ঝুঁকছেন তারা। তবে এক একটি চার্জার ফ্যানের দাম চার থেকে সাত হাজার টাকায় পৌঁছেছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) যশোরে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিত মাইক পট্টি গিয়ে দেখা যায়, সাধারণত যেখানে বেলা ১১টার আগে ক্রেতার দেখা মিলতো না সেখানে আজ সকাল ৯টার পরপরই ক্রেতারা ভিড় করছেন। ক্রেতাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই এসেছেন গরমে অতিষ্ট হয়ে ফ্যান কেনার জন্য।

ক্রেতারা বলছেন, এখন ফ্যানের দাম বেশি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রোজার শুরুর দিকে যে ফ্যান তিন হাজার টাকায় পাওয়া গেছে এখন সেই ফ্যানের দাম চাওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। তিন/চারদিন আগে যে চার্জার ফ্যানের দাম নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, আজ তা ৪ হাজার ৫০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।

মাইক পট্টিতে ফ্যান কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, রাতে বিদ্যুৎ ছিল না। তার ওপর যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে বেঁচে থাকা কঠিন। বাধ্য হয়ে চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে শুনি দাম বেড়ে গেছে। ৪ হাজার ৮০০ টাকার ফ্যান এখন ৫ হাজার ৬০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর নিচে নাকি বিক্রি করার অনুমতি নেই ব্যবসায়ীদের।

এদিকে, দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফ্যানের সরবরাহ কমে গেছে। সে কারণে ঢাকা থেকেই দাম বাড়ানো হয়েছে। শুধু চার্জার ফ্যান নয়, সব ধরনের ফ্যানের দাম বেড়েছে।

error: Content is protected !!