সোহেল রানা, কেশবপুর!
যশোরের কেশবপুর উপজেলার আড়ুয়া গ্রামের চা বিক্রেতা মনিরুজ্জামান জিল্লুকে হত্যা করেছেন তার স্ত্রী নিজেই। এ হত্যা মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী সখিনা খাতুন (৩৫) হত্যার কথা স্বীকার করে শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় শনিবার বিকেলে তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে যশোরের ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মনিরুজ্জামান জিল্লুর ভাল্ব নষ্ট ছিল। ঠিকমত হাঁটাচলা করতে পারতেন না। অপরদিকে স্ত্রী সখিনা তার খালাতো ভাই বিল্লালের সাথে পরকীয়া করতেন। তার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নাটক সাজায় সখিনা। তিনি আত্মহত্যা করার কথা বলে পাশের একটি বাগানে যান। তাকে ফিরিয়ে আনতে জিল্লুও সেই বাগানে যান। সখিনা তার স্বামী জিল্লুকে বাগানের পাশের ডোবার মধ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরে স্বামীর গায়ের গেঞ্জিদিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এসআই মফিজুল ইসলাম আরও জানান, আটকের পর সখিনাকে কেশবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ বিকেলে ওই এলকার একটি বাঁশবাগানের ডোবা থেকে জিল্লুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জিল্লু উপজেলার আড়ুয়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি কাটাখালি বাজারের চা বিক্রেতা ছিলেন। ২১ মার্চ রাতে বাজার থেকে নিখোঁজ হন তিনি। পরের দিন বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা করেন স্ত্রী সখিনা খাতুন। মামলাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। ডিবির তদন্তে উঠে আসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যা করে হত্যার নাটক সাজায় স্ত্রী সখিনা।